সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ শতকের অপেক্ষার অবসান। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে যে সংগ্রাম চলে আসছে তার পরিপূর্ণতার মঞ্চ। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে অধুনা ভারতের হিন্দুত্বের অন্যতম পোস্টার বয়, যোগী আদিত্যনাথও যেন আবেগপ্রবণ। তাঁকে যেমন দৃঢ়সংকল্পের সঙ্গে বলতে শোনা গেল, আজ থেকে অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠিত হল রাম রাজত্ব। তেমনি তাঁর গলাতেই শোনা গেল পাঁচ দশকের লড়াইয়ের আক্ষেপের সুর।
মন্দির প্রতিষ্ঠার পর যোগীর মুখে শোনা গেল ৫ শতকের লড়াই এবং বলিদানের কথা। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলে গেলেন, “পাঁচ শতক পেরিয়ে গিয়েছে। একের পর এক প্রজন্ম শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লড়াইয়ের সংকল্প চিরদিন অটল ছিল। বিশ্বে সম্ভবত এই প্রথমবার কোনও একটা দেশের সংখ্যাগুরুদের নিজেদেরই দেশে নিজেদের আরাধ্যা দেবতার আরাধ্যস্থল প্রতিষ্ঠা করার জন্য এত বছর ধরে এত সংগ্রাম করতে হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: প্রবল ঠান্ডা, রামমন্দির উদ্বোধনে থাকছেন না ‘বৃদ্ধ’ আডবানী]
কীভাবে সমাজের সব শ্রেণির মানুষ, সব বিভেদ ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাম জন্মভূমি আন্দোলনে লড়াই করে গিয়েছেন, সেই লড়াইয়ের কথা উঠে এল যোগীর কথায়। তিনি বললেন, “দেশের সব শ্রেণি, সব বর্গ, সব জাতি, সব বর্ণের মানুষ নিজেদের মধ্যেকার বিভেদ ভুলে এই মন্দির নির্মাণের জন্য এত স্তরেম এত লড়াই করতে করেছে। আজ সেই সংকল্পের পরিপূর্ণতার দিন।” এর পরই দৃপ্ত কণ্ঠে মোদির ঘোষণা, ‘মন্দির ওহি বনা হ্যায়, যাঁহা বানানে কি সংকল্প কিয়া থা।” অর্থাৎ “মন্দির সেখানেই হয়েছে, যেখানে বানাতে চেয়েছিলাম।”
[আরও পড়ুন: ‘ভারততীর্থ’ অযোধ্যায় ডোম রাজার হাতে প্রাণ পাবে শিশু রাম]
যোগী এদিন বললেন, “আজ সব রামভক্তের হৃদয় প্রসন্ন। মনে হচ্ছে ত্রেতা যুগে চলে এসেছি। গোটা দেশ এই দিনের জন্য অপেক্ষা করছিল। অযোধ্যায় আর কারফিউ হবে না। গুলি চলবে না। রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার ঘোষণাও করলাম। রামরাজ্য বিদ্বেষ নয়, রামরাজ্য ভালোবাসার।”