সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ভেঙে পড়ল সেনাবাহিনীর একটি চিতা হেলিকপ্টার। ঘটনাটি ঘটেছে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে। ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কপ্টারটির একজন চালক। দ্রুত ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে সেনার উদ্ধারকারী দল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে তাওয়াং টাউনটির দূরত্ব মাত্র ১০ মাইল।
সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বুধবার তাওয়াংয়ে ভেঙে পড়ে একটি চিতা হেলিকপ্টার। ওই ঘটনায় চালকদলের এক সদস্য নিহত হয়েছেন, বাকিদের খোঁজে উদ্ধারকাজ দ্রুত চলছে। বলে রাখা ভাল, পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালাতে ভারতীয় সেনার (Indian Army) অন্যতম অস্ত্র হচ্ছে চিতা হেলিকপ্টার। সিয়াচেন থেকে শুরু করে অরুণাচলের জঙ্গলাকীর্ণ পার্বত্য এলাকায় জওয়ানদের পৌঁছে দিতে অথবা রসদ পৌঁছে দিতে ব্যবহার করা হয় এই হেলিকপ্টারগুলিকে। প্রয়োজনে ‘গানশিপ’ বা কামানবাহী চপার হিসেবেও ব্যবহার করা যায় চিতাকে।
[আরও পড়ুন; ‘সবার জন্য আনা হোক জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন’, দাবি তুললেন আরএসএস প্রধান]
এদিকে, এর আগেও দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে চিতা হেলিকপ্টার। গত মার্চ মাসে উত্তর কাশ্মীরের ( Kashmir) গুরেজ সেক্টরের বরায়ুম অঞ্চলে ভেঙে পড়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি চিতা হেলিকপ্টার (Cheetah helicopter)। অসুস্থ হয়ে পড়া একজন বিএসএফ জওয়ানকে আনতে যাচ্ছিল চপারটি। সেই সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। দ্রুত উদ্ধারকার্য শুরু হলেও প্রাণ হারান এক পাইলট। ওই অঞ্চলটি বরফে ঢাকা থাকায় উদ্ধারকার্যে রীতিমতো সমস্যা দেখা দেয়। একইভাবে এবার অরুণাচলের জঙ্গলাকীর্ণ পার্বত্য এলাকায় উদ্ধারকাজ চালানো খুবই কঠিন।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানায়, চিতা ও চেতকের মতো হেলিকপ্টারগুলির পরিবর্তে অন্য কোনও চপারের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন কি না, সে বিষয়ে নিয়মিত পর্যালোচনা করা হয়। চিতা ও চেতকের বদলে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হ্যালের তৈরি নাভাল ইউটিলিটি হেলিকপ্টার ও লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার দেওয়া হতে পারে সেনাবাহিনীকে। এছাড়া রাশিয়ার তৈরি কেএ-২২৬টি হেলিকপ্টারও দেওয়া হতে পারে।