সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরে গোপন ঘাঁটিতে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকা ঠেকাতে এবার ভারতীয় সেনার হাতে নয়া অস্ত্র। ইজরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা এক বিশেষ ধরনের রাডার তুলে দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর হাতে। উপত্যকায় কোনও বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া বা নিজেদের কোনও লুকানো আস্তানায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গিকে সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে এই রাডার। চিরুনি তল্লাশি চালানোর সময় বা জঙ্গি দমন অভিযান চালানোর সময় বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে রাডার দেখিয়ে দেবে ওই জঙ্গি কোথায় লুকিয়ে আছে। এছাড়াও সেনা জানাচ্ছে রাডারের সাহায্যে কংক্রিটের দেওয়াল বা মাটির তলায় তৈরি ঘাঁটি থেকেও অবস্থান জানা যাবে জঙ্গিদের।
[ভারতে প্রতি বছর চিড়িয়াখানায় কতগুলি বাঘ মারা যায় জানেন?]
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই রাডার সেনার হাতে পৌঁছে গিয়েছে। কাশ্মীরের জনবহুল এলাকায় সেনা জঙ্গি সংঘর্ষে বহু সাধারণ মানুষের প্রাণ যায়। আহত হন অসংখ্য নাগরিক। এই ধরণের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতেই উচ্চ প্রযুক্তির বিশেষ রাডার ব্যবহারের কথা ভাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকে খুঁজে বের করে জঙ্গি নিকেশ দ্রুত সম্ভব হয়।
গত বছর ৮ জুলাই দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানির লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে তিনবার টহল দেয় সেনাবাহিনী। এমনকী যে বাড়িতে তারা লুকিয়ে ছিল, সেখানেও দুবার চিরুনি তল্লাশি চালায় সেনা। তবে ওয়ানির খোঁজ পায়নি। পরে লক্ষ্য করা যায় ফলস সিলিং-এ আত্মগোপন করে ছিল ওয়ানি-সহ আরও তিনজন জঙ্গি। তৃতীয়বার তল্লাশি চালানোর সময় সেনার হাতে ধরা পড়ে বুরহান। ঘটনাস্থলেই গুলিতে মৃত্যু হয় তার। গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে পাকা খবর থাকা সত্ত্বেও বারবার তল্লাশি চালানো সবসময় সম্ভব হয় না। সেখানেই কার্যকরী এই বিশেষ রাডার।
[প্যালেস্তিনীয় শিশুকে স্তন্যদান, মানবিকতার নজির ইজরায়েলি নার্সের]
প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, রাডারের মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করছে। বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত ডিআরডিও-র ইলেকট্রনিক্স ও রাডার ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট পরীক্ষাগারে তৈরি হয়েছে এই রাডার। সূত্রের খবর ২০০৮ সালে মুম্বই সন্ত্রাসের পরেই এই রাডার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়।
[জানেন কি, ‘সেলফি’ গানটি গেয়ে ‘ঢিনচ্যাক পূজা’ কত আয় করেছেন?]
এই রাডার দু’ধরনের। বহনযোগ্য রাডার ও দ্বিতীয় রকম রাডারকে এক জায়গায় রেখে স্ট্যান্ডের সাহায্যে ব্যবহার করা যাবে। সেনার দিব্যচক্ষু প্রকল্পের আওতায় এই রাডার তৈরি করা হয়েছে। ডিআরডিও সূত্রে খবর, কোনও কংক্রিট বা মাটির দেওয়াল ভেদ করে ২০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত ছবি বহনযোগ্য রাডারে ধরা পড়বে। বাকিগুলিতে ধরা পড়বে ৪০ মিটার পর্যন্ত। যে রাডার গুলি ইজরায়েল ও আমেরিকা থেকে আমদানি করা হয়েছে, সেগুলির দাম এক একটি দু’ কোটি টাকা। আর ডিআরডিওতে তৈরি রাডারের দাম পড়ছে মাত্র ৩৫ লক্ষ টাকা!
The post যেখানেই লুকিয়ে থাক জঙ্গি, ঠিক খুঁজে বের করে দেবে এই রাডার appeared first on Sangbad Pratidin.