shono
Advertisement

শত্রুর উপর অগ্নিবৃষ্টি করতে তৈরি এম ৭৭৭, বাংলার মাটিতে শক্তিপ্রদর্শন অত্যাধুনিক কামানের

পানাগড়ে এম ৭৭৭ হালকা হাউইৎজারের পরীক্ষা চালায় সেনাবাহিনীর ব্রহ্মাস্ত্র কোর।
Posted: 04:28 PM Sep 14, 2021Updated: 04:30 PM Sep 14, 2021

অর্ণব আইচ: উত্তর-পূর্ব ভারতে চিন সীমান্তে এম ৭৭৭ খুব হালকা হাউৎজার কামান নিয়ে লালফৌজের মোকাবিলায় তৈরি ভারতীয় সেনা। এবার শক্তির পরিচয় দিয়ে বাংলার মাটিতে গর্জে উঠল ভারতীয় ফৌজের এই অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রটি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের যাত্রা শুরু করতে চলেছে জেট এয়ারওয়েজ, দিল্লি-মুম্বই রুটে উড়বে প্রথম বিমান]

সেনা সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বরের ১ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে এম ৭৭৭ হালকা হাউৎজারের পরীক্ষা চালায় সেনাবাহিনীর ব্রহ্মাস্ত্র কোর। নানাভাবে গোলা ছুঁড়ে কামানটির মারণ ক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়। এবং সেনা সূত্রে খবর, প্রতি পরীক্ষায় অত্যন্ত ভাল ফল করেছে হাতিয়ারটি। প্রসঙ্গত, এই কামান তৈরি করেছে ব্রিটিশ অস্ত্রনির্মাণকারী সংস্থা ‘BAE Systems’। তাদের সঙ্গে ভারতের চুক্তি মতো ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের অন্তর্গত ফরিদাবাদে ‘Mahindra Defence facility’ তৈরি করা হয়েছে কামানগুলিকে।

১৫৫ মিলিমিটার এম ৭৭৭ কামানগুলিত ওজন মাত্র ৪ টন। ফলে ভারতীয় ফৌজের চিনুক হেলিকপ্টারে চাপিয়ে সহজেই কামানটিকে ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশের ৪,০৫৭ কিলোমিটার বিস্তৃত ভারত-চিন সীমান্তে নিয়ে যাওয়া যাবে৷ ১৩ লক্ষ সেনা সমৃদ্ধ দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে ১৫৫ এমএম-এর ‘আর্টিলারি গান’ শেষবার যুক্ত হয়েছিল রাজীব গান্ধীর আমলে৷ কিন্তু বফর্স কেলেঙ্কারির পর থেকে দুর্নীতির ভয়ে সেনায় নতুন কোনও কামান যুক্ত করা যায়নি৷ গত ১৫ বছর ধরে ভারতীয় সেনা দূরপাল্লার (২৪-৪০ কিলোমিটার রেঞ্জের) আগ্নেয়াস্ত্রর দাবি জানিয়ে আসছিল৷ অবশেষে সেই দাবি মিটেছে ৷

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইস্টার্ন কমান্ডের সেনা সদর দপ্তর ফোর্ট উইলিয়ামে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি এনসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান জানিয়েছিলেন, লাদাখে চিনের সেনা অপসারণ শুরু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু গালওয়ানের ঘটনা এবং সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘাতের কথা মাথায় রেখে সিকিম-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সীমান্তে উপযুক্ত প্রস্তুতি নিয়েছে ভারতীয় সেনা। চিনা সেনার মোকাবিলা রুখতে অনেকগুলি অতি হালকা হাউৎজার কামান মোতায়েন করা হয়েছে। এম ৭৭৭ কামান তার মধ্যে অন্যতম। এছাড়া ড্রোন, অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবস্থার মাধ্যমে চিনা সেনার উপর দিন রাত নজরদারি চালানো হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: Pegasus Row: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’ পেগাসাস কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিতে নারাজ কেন্দ্র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার