ভারত: ৩৭৩-৭ (বিরাট ১১৩, রোহিত ৮৩)
শ্রীলঙ্কা: ৩০৬-৮ (শনাকা ১০৮, নিশঙ্কা ৭২)
ভারত ৬৭ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপের (ICC World Cup) প্রস্তুতি শুরু করে দিল ভারত। ‘হোম সিজনে’র প্রথম ম্যাচে টিম ইন্ডিয়া জিতল ৬৭ রানের ব্যবধানে। ব্যাট হাতে যেমন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের চেনা ছন্দে দেখা গেল, তেমনই বল হাতে নজর কাড়লেন মহম্মদ সিরাজ, উমরান মালিকরা।
এদিন গুয়াহাটির ব্যাটিং সহায়ক পিচে টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু লঙ্কাব্রিগেডের সেই সিদ্ধান্তকে নিমেশে ভুল প্রমাণিত করে ভারতের ওপেনিং জুটি। প্রথম উইকেটের জুটিতে মাত্র ১৯ ওভার ৪ বলে ১৪৩ রান তুলে দেন রোহিত এবং গিল। এদিন দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। মাত্র ৬৭ বলে ৮৩ রান করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। ঈশান কিষানের জায়গায় যে শুভমন গিলকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তিনিও এদিন ঝকঝকে ৭০ রানের ইনিংস খেলেন। দুই ওপেনারের গড়ে দেওয়া মঞ্চে সোনা ফলানোর কাজটা খুব কঠিন ছিল না। সেই কাজটি করলেন বিরাট কোহলি। অনবদ্য শতরান করে বিরাট ফের বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এখনও রাজাই আছেন।
[আরও পড়ুন: চাকরি গেল আরও ৩ প্রাথমিক শিক্ষকের, এপর্যন্ত হাই কোর্টের ‘কোপে’ মোট ২৫৮ জন]
এটি বিরাটের ওয়ানডে কেরিয়ারের ৪৫তম এবং আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ৭৩তম শতরান। অনবদ্য এই সেঞ্চুরি করে শচীন তেণ্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) সর্বকালের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন কিং কোহলি। ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে এটি ছিল বিরাটের কুড়িতম শতরান। ঘরের মাঠে শচীনের সেঞ্চুরির সংখ্যাও কুড়ি। আর একটি সেঞ্চুরি করলেই এই তালিকায় সবার উপরে চলে যাবেন তিনি। এদিকে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ওয়ানডেতে এতদিন সবচেয়ে বেশি শতরান করার নজির ছিল শচীনের দখলে। সেটি এদিন টপকে গিয়েছেন বিরাট। শচীন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৮৪ ম্যাচে আটটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। কোহলি মাত্র ৪৮ ম্যাচে ৯টি সেঞ্চুরি করে ফেললেন। বিরাট, রোহিত এবং গিলের অনবদ্য পারফরম্যান্সে টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস শেষ হয় সাত উইকেটে ৩৭৩ রানে।
[আরও পড়ুন: প্রাণ কাড়ল শৈত্যপ্রবাহ! কানপুরে প্রবল ঠান্ডায় পাঁচ দিনে মৃত্যু ৯৮ জনের]
৩৭৪ রানের পাহাড়প্রমাণ টার্গেট তাড়া করাটা সহজ কাজ ছল না। এই বিরাট রানের চাপে শুরুতেই কুঁচকে গেল লঙ্কা ব্রিগেড। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং দুর্গে প্রথম আঘাত হানেন মহম্মদ সিরাজ। মাত্র ২৩ রানের মাথাতেই দুই লঙ্কা ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। তবে ওপেনার নিশঙ্কা (৭২) খানিকটা লড়াই করেন। আসালাঙ্কা (২৩) এবং ধনঞ্জয়ের (৪৭) সঙ্গে জুটি বেঁধে খানিকটা সম্মানজনক জায়গায় দলকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। শেষদিকে অধিনায়ক শনাকা একার হাতে অনবদ্য লড়াই করেন। ১০৮ রানের অনবদ্য লড়াই করেন। কিন্তু ভারতের বিপুল রানের সামনে সেটা যথেষ্ট ছিল না। শেষপর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ হয় ৮ উইকেটে ৩০৬ রানে। মহম্মদ সিরাজের পাশাপাশি ফের এদিন বল হাতে নজর কেড়েছেন উমরান মালিক। ৫৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি।