সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মস্কোয় তালিবানের (Taliban) সঙ্গে বৈঠক সারল ভারতের প্রতিনিধি দল। আফগানিস্তানে তালিবানের সরকারকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি নয়াদিল্লি। বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে আফগানভূম থেকে সন্ত্রাসের পদধ্বনি নিয়ে সরব হয়েছে মোদি সরকার। এহেন পরিবেশে এই বৈঠক এক নতুন দিশা দেখাতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
[আরও পড়ুন: সংবাদমাধ্যমের গলায় ফাঁস জেহাদিদের, তালিবানের হাতে আক্রান্ত সাংবাদিকরা]
বুধবার রাশিয়ার রাজধানীতে ভারতের সঙ্গে বৈঠকের পর তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ টুইটারে জানায়, ভারত মানবিকতার খাতিরে আফগানিস্তানকে (Afghanistan) সাহায্য পাঠাতে রাজি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর অবশ্য আগেই আফগান জনগণকে খাবার, ওষুধপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে সাহায্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। রাষ্ট্রসংঘের কোনও সংস্থার হাত ধরেই ভারত তাদের সাহায্য পাঠাবে বলে সূত্রের খবর।
‘ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্তান’-এর মুখপাত্রও টুইট করে জানান, ভারত ও তালিবান দু’পক্ষই নিজেদের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছে। কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে ঐক্যমত হয়েছে দুই দেশ। আফগানিস্তানের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন উপ-প্রধানমন্ত্রী আবদুল সালাম হানাফি। আর ভারতের তরফে ছিলেন বিদেশমন্ত্রকের যুগ্মসচিব জে পি সিং।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান নিয়ে মস্কো হওয়া এই আলোচনা চক্রে ১০টি দেশ অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছে ভারত, চিন ও পাকিস্তান। গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখল করে তালিবান। নতুন করে শুরু হয় অন্ধকার যুগের। তারপর থেকেই আশঙ্কিত গোটা বিশ্ব। তালিবানি তাণ্ডবের বীভৎস চেহারা সারা বিশ্বকে দেখতে হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে রাস্তায় উন্মত্তের মতো ছুটেছে সাধারণ মানুষ। বিশিষ্টরাও বাদ যাননি। তালিবানরা দেশ দখল করে নেওয়ার পর প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন জাতীয় দলের এক ফুটবলার। কিন্তু প্লেন থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় নেট নাগরিকরা শিহরিত। এখনও ‘কাবুলিওয়ালার দেশে’র রুক্ষ মাটিতে রক্তের দাগ। এমনকী সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে রাস্তায় নামা আফগান মহিলাদের উপরে গুলি চালিয়েছে জেহাদিরা।