সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে নিজের যোগ্যতায় জায়গা করে নিলেন ভারতীয় কূটনীতিক বিদিশা মৈত্র (Vidisha Maitra)। ২০০৮ সালের ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস অফিসার বাঙালি কন্যা বিদিশা রাষ্ট্রসংঘের অর্থ ও বাজেট বরাদ্দ নিয়ন্ত্রক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হলেন। তাঁর নির্বাচনের পক্ষে পড়ে ১২৬টি ভোট। বিপক্ষে পড়ে ৪৬টি ভোট। এই কমিটির পোশাকি নাম, অ্যাডভাইসরি কমিটি অন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যান্ড বাজেটারি কোশ্চন (ACABQ)। অর্থাৎ দুনিয়া জুড়ে রাষ্ট্রসংঘের যাবতীয় আর্থিক কর্মকাণ্ডের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ ও হিসেব নিকশ এবং অডিট হবে সেই সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে তাঁরও সম্মতি দেওয়া বা না দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে।
বিদিশার এই নির্বাচনকে কূটনৈতিকভাবেও বড় জয় হিসেবে দেখছে ভারত। কারণ, যে পদে বিদিশা নির্বাচিত হয়েছে, সেটি এলাকাভিত্তিক। এর থেকে বোঝা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ভারতের প্রতিই সমর্থন বেশি গোটা বিশ্বের। তাছাড়া আগামী বছর থেকে আরও দু’বছরের জন্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদে বসছে ভারত। তার আগে বাঙালি কন্যার এই জয় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী দূত টি এস তিরুমূর্তি বলছিলেন,”বিদিশার এই নির্বাচন ভারতের প্রতি রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলির সমর্থনের বড়সড় নিদর্শন। আমি নিশ্চিত আগামী দিনে তিনি অ্যাডভাইসরি কমিটি অন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যান্ড বাজেটারি কোশ্চনে নিরপেক্ষ, লক্ষণীয় এবং লিঙ্গবৈষম্যহীন পদক্ষেপ করবেন।” বিদিশাকে সমর্থনের জন্য রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলিকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিরুমূর্তি।
[আরও পড়ুন: ভরসা ‘ভোট কাটোয়া’ ওয়েইসি! এক্সিট পোলের পরও বিহার দখলের আশা ছাড়ছে না বিজেপি]
এর আগে গত বছর পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) ভাষণের বিরুদ্ধে বাছাই করা শব্দ দিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারত ও ভারত বাইরে বিশেষ প্রশংসা পেয়েছিলেন বিদিশা। রাষ্ট্রসংঘের মূল মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে গত বছর ইমরান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, উচিত শিক্ষা দেওয়া, রক্তস্নান, কাশ্মীর নিয়ে দেখে নেব, ধর্মীয় অত্যাচার ইত্যাদি শব্দ প্রয়োগ করেছিলেন। জবাবি ভাষণে বিদিশা তাঁকে তুলোধোনা করেন। যা বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলিতে ফলাও করে ছাপা হয়েছিল গত বছর।