সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে বাড়ছে খলিস্তানিদের কার্যকলাপ। ভারত ভাঙার স্বপ্নে মশগুল ভিন্দ্রেনওয়ালের অনুগামীরা। এবার ব্রিটেনের এক গুরুদ্বারে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ঢুকতে বাধা দিল শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
শুক্রবার খলিস্তানপন্থীদের রোষের মুখে পড়েন ব্রিটেনে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী। স্কটল্যান্ডের একটি গুরুদ্বারে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হল না। একদল উগ্রপন্থী ব্রিটিশ শিখের আপত্তিতে গ্লাসগোর ওই ধর্মস্থানটিতে প্রবেশ করতে পারলেন না দোরাইস্বামী। এই ঘটনায় নয়াদিল্লি ও লন্ডনের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। কারণ, এর আগেও সেদেশে খলিস্তানিদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে ভারতের কূটনীতিবিদদের।
[আরও পড়ুন: ‘আশা করি আমেরিকা বুঝতে পেরেছে’, কানাডা বিতর্কে সাফ কথা জয়শংকরের]
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে খলিস্তানি (Khalistani) নেতা অমৃতপাল সিংকে (Amritpal Singh) গ্রেপ্তারির চেষ্টার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠে বিশ্বের নানা প্রান্তের খলিস্তানিরা। ব্রিসবেন, লন্ডন (London), সান ফ্রান্সিসকো- একাধিক জায়গায় ভারতীয় দূতাবাসে তাণ্ডব চালায় হলুদ পতাকাধারীরা। লন্ডনের হাই কমিশনের জাতীয় পতাকা খুলে নিয়ে সেখানে হলুদ পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভারত বিরোধী স্লোগানও তোলা হয়। এবার ব্রিটেনের এক গুরুদ্বারে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ঢুকতে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে তুলেছে খলিস্তানিরা।
প্রসঙ্গত, ১৮ জুন, ২০২৩ কানাডায় গুলি করে খুন করা হয় কুখ্যাত খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে (Hardeep Singh Nijjar)। সুরেতে একটি গুরুদ্বারের সামনে খলিস্তান টাইগার ফোর্সের প্রধানের উপর গুলিবৃষ্টি করে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা। কে বা কারা নিজ্জর হত্যায় যুক্ত তা এখনও জানা যায়নি। তবে কানাডা সরকারের অভিযোগ, এই ঘটনার নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে। কোনও প্রমাণ ছাড়াই সরব হয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার পর থেকেই নয়াদিল্লি ও কানাডার মধ্যে বেনজির কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছে আমেরিকা।