সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ায় কোয়াড গোষ্ঠীর বৈঠক শেষে ফিলিপিন্স পৌঁছলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। চিনের বিরুদ্ধে শক্তিসংগ্রহ করতে সোমবার ফিলিপিন্সের বিদেশ সচিব টেডি লসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন জয়শংকর।
[আরও পড়ুন: লাগবে না টিকাকরণের শংসাপত্র, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে অবাধ পুরীর মন্দিরে প্রবেশ]
কূটনীতির সূত্র মেনে জয়শংকরের এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, চিনকে কৌশলগত ভাবে বেকায়দায় ফেলতে ফিলিপিন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা নয়াদিল্লির। তাছাড়া, শুরুর দিকে প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতের্তের সরকার চিনের ফাঁদে পা দিয়ে ঋণের বোঝায় কোণঠাসা। সেই সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেশটির জলসীমায় আগ্রাসন চালাচ্ছে লালফৌজ। ফলে চিনের বিরুদ্ধে ম্যানিলার ক্ষোভ তুঙ্গে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চিনের সঙ্গে দর কষাকষির সময় নিজের হাত মজবুত করতে চাইছে ভারত। এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার ফিলিপিন্স পৌঁছে সে দেশের বিদেশমন্ত্রী টেডি লসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন জয়শংকর। তারপর বিদেশমন্ত্রীর টুইট, “আমরা এক নতুন অংশীদারিতে প্রবেশ করছি, পারস্পরিক জাতীয় নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা যার ভিত্তি। এই দু’টি ক্ষেত্র নিয়েই আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।”
ফিলিপিন্সে আগামী মে মাসে নির্বাচন। সেই নির্বাচনে চিনের হস্তক্ষেপ করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। এহেন রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে তাই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আগ্রহী দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের কাছ থেকে অত্যাধুনিক ব্রহ্মস মিসাইল কিনেছে ফিলিপিন্স। ৩৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তথা ২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকার এই চুক্তি নিঃসন্দেহে চিনকে অস্বস্তিতে রাখবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। শব্দের গতিবেগের চেয়েও তিনগুণ দ্রুত ব্রহ্মসের গতিবেগ ৪ হাজার ৩২১ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ক্ষিপ্রগতিতে শত্রুর উপরে হামলায় সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতি ফিলিপিন্সের যে প্রবল আস্থা রয়েছে, তা এই চুক্তি থেকে পরিষ্কার। ফিলিপিন্সের জাতীয় সুরক্ষা বিভাগের তরফে আগেই ‘ব্রহ্মস এরোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড’-কে ‘নোটিশ অফ অ্যাওয়ার্ড’ পাঠানো হয়েছিল। অবশেষে স্বাক্ষরিত হয় চূড়ান্ত চুক্তি।