সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের আনন্দে গা ভাসালেও সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। রাজ্যবাসীকে এমন পরামর্শ আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সোমবার তিনি জানিয়ে দেন, ওমিক্রন রুখতে প্রয়োজনে কড়া বিধিনিষেধও জারি করা হতে পারে। তবে বর্তমানে রাজ্যের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এরই মধ্যে অবশ্য ষাঠোর্ধ্বদের কোভিডের প্রিকশন ডোজ এবং ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য করোনা টিকা সংক্রান্ত নয়া গাইডলাইন জারি করল কেন্দ্র।
সোমবার কেন্দ্রের তরফে নয়া নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হল, আগামী ৩ জানুয়ারি ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের যে টিকাকরণ শুরু হচ্ছে, সেখানে শুধুমাত্র কোভ্যাক্সিনই (COVAXIN) ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ এই বয়সের ছেলে-মেয়েদের অন্য কোনও ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। এরপরই বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মী এবং ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের মধ্যে যাঁরা ইতিমধ্যেই টিকার জোড়া ডোজ পেয়ে গিয়েছেন, তাঁদের আরও একটি অতিরিক্ত ডোজ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে ১০ জানুয়ারি থেকে। দ্বিতীয় ডোজের ৯ মাস অর্থাৎ অন্তত ৩৯ সপ্তাহ পর প্রিকশন ডোজ দিতে হবে। এছাড়া জোড়া টিকা নেওয়া ষাঠোর্ধ্ব ব্যক্তিদের যদি কো-মর্বিডিটি থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই তাঁদের প্রিকশন ডোজ দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: Omicron: ওমিক্রন রুখতে ফের জারি হতে পারে কড়া বিধিনিষেধ? জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী]
এদিকে, উৎসবের মরশুমে গত ২৪ ঘণ্টায় তুলনামূলক অনেকটাই কমল টেস্টিং। ফলে বাংলায় সংক্রমিত সংখ্যাও অনেকটা কম। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার (COVID-19) কবলে পড়েছেন ৪৩৯ জন। এর মধ্যে শহর কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ২০৪ জন। এদিনও সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে ৭৭ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ২৮। ফলে রাজ্যে মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৬ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৫ জন। বর্তমানে রাজ্যের পজিটিভিটি রেট ২.৫২ শতাংশ। এদিকে একদিনে ভাইরাসের বলি ১০ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৯ হাজার ৭২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯-এ।
তবে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে আশার আলো দেখাচ্ছেন কোভিডজয়ীরা। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৪৬ জন। এ নিয়ে মোট ১৬ লক্ষ ৩ হাজার ৯০৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৩৩ শতাংশ। বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন ৭ হাজার ৪৩৩ জন।