সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রীতি-নীতি, প্রথা, ঐতিহ্য কত কিছু মেনেই না চার হাত এক হয়। সারা জীবন একসঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করা হয়। অতিথিরা আসেন। কেউ শুভেচ্ছা দিয়ে যান, কেউ দিয়ে যান আশির্বাদ। প্রত্যেকেই কিছু না কিছু উপহার নিয়ে এসে থাকেন। নিমন্ত্রণপত্রের তার উল্লেখ থাক আর নাই থাক, খালি হাতে বিয়েবাড়ি যাওয়া যায় নাকি!
[আদালতে আত্মসমর্পণ বিক্রমের, ১,০০০ টাকার বন্ডে আগাম জামিন অভিনেতার]
খালি হাতে নয়, উপহার নিয়েই নিজের বিয়েতে সবাইকে আসতে বলেছেন প্রশান্ত মাহাতো। ছত্তিশগড়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার রীতিমতো কার্ডে ছাপিয়ে এ কথা সবাইকে জানিয়েছেন। জানিয়েছেন একটিই উপহার তাঁর চাই নিজের বিয়েতে। বই, নতুন-পুরনো, পড়ার বই থেকে গল্পের বই – বাড়িতে যত বই রয়েছে সবই নিজের বিয়েতে নিয়ে আসার আর্জি জানিয়েছেন প্রশান্ত।
না, এত বই নিয়ে কোনও লাইব্রেরি তৈরি করতে চান না প্রশান্ত। বরং এ সমস্ত বই তিনি বিলি করে দিতে চান সে সমস্ত গরিব-দুঃস্থ বাচ্চাদের, টাকার অভাবে যারা পড়ার বই জোগাড় করতে পারে না।
[পশ্চিমবঙ্গে নিরাপদ নয় আদিবাসীরা, অভিযোগ বিজয়বর্গীয়র]
নিজে কষ্ট করে পড়াশোনা করেছেন। জানেন ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যে থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য কতটা কাঠখড় পোড়াতে হয়। যে অভাবের মধ্যে দিয়ে প্রশান্তকে পথ চলতে হয়েছে, তিনি চান না সেই কষ্ট অন্য কেউ ভোগ করুক। সেই কারণেই দুঃস্থ পড়ুয়াদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বই বিতরণ করে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ৫০,০০০ হাজার বই তিনি গরিব শিশুদের দিয়েছেন। এ কাজে তাঁকে সাহায্য করেছে ৫৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী। বিয়েতে পাওয়া বইও এভাবেই বিলিয়ে দিতে চান তিনি।
[এবার চিনকেও নিশানা করল উত্তর কোরিয়া]
The post বিয়ের কার্ডে এ কেমন অদ্ভুত আবদার পাত্রের? appeared first on Sangbad Pratidin.