সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বে অন্যতম অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ভারত। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পেতে লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশ। সবমিলিয়ে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে নয়াদিল্লি। এহেন পরিস্থিতিতে আটলান্টিক মহাসাগরে ফরাসি নৌসেনার সঙ্গে শক্তিপ্রদর্শন করল ভারতীয় নৌবাহিনী। বিশ্লেষকদের মতে, ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের এই মহড়া কার্যত চিনের প্রতি কড়া বার্তা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ২৯ ও ৩০ জুলাই উত্তর আটলান্টিকে মহড়া চালায় ভারতীয় রণতরী ‘আইএনএস তরকশ’। ‘মেরিটাইম পার্টনার্শিপ এক্সারসাইজ’-এর অন্তর্গত ফরাসি নৌসেনার জাহাজ ‘এফএনএস সোম’-এর সঙ্গে যৌথ মহড়া চালায় ভারতের গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেটটি। এছাড়া, এই মহড়ায় অংশ নেয় ফ্রান্সের নজরদারি বিমান ফ্যালকন-৫০। শত্রুপক্ষ মিসাইল হামলা চালালে কীভাবে তা মোকাবিলা করা যাবে এবং পালটা নজরদারি চালানোর কৌশল ঝালিয়ে নেওয়া হয়েছে এই মহড়ায় বলে খবর। সবমিলিয়ে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দুই বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় তৈরি করার বিষয়টিতেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মধ্যরাতে ইডির হাতে গ্রেপ্তার শিব সেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত, তুললেন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের সামরিক সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। ভারতীয় নৌসেনায় ফ্রান্সের তৈরি স্করপেন সাবমেরিন (Scorpene submarine) রয়েছে। ২০১৫ সালে ফ্রান্স থেকে ২৬টি রাফালে যুদ্ধবিমান কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয় ভারত। ইতিমধ্যে বায়ুসেনার হাতে পৌঁছে গিয়েছে বিমানগুলি। ভারতীয় বায়ুসেনায় বহুদিন ধরে রয়েছে ফরাসি মিরাজ যুদ্ধবিমানগুলি।
উল্লেখ্য, চিনকে নজরে রেখে আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপার দেশগুলির সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক মজবুত করছে ভারত। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারটি দেশ ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া মালাবার নৌমহড়া চালায়। ২০১৫ সালে মালাবার মহড়ায় যুক্ত হয়েছিল জাপানের নৌবাহিনীও। গোড়া থেকেই তা নিয়ে বেজিং সন্দিহান ছিল। তাদের ধারণা, ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতেই এই মহড়া করা হয়।