সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের জলদস্যুদের কবল থেকে পাক নাবিকদের উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা। বৃহস্পতিবার এডেন উপসাগরে জলদস্যুদের খপ্পরে পড়ে ইরানের নিশানধারী একটি মাছ ধরার জাহাজ। ২৩ জনের চালকদলকে বন্দি করে ফেলে দস্যুরা। তাঁরা সকলেই পাকিস্তানের নাগরিক বলে খবর। খবর পেয়েই অপহৃত জাহাজটি উদ্ধারের নামে ভারতীয় নৌসেনা। প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযানের পর হার মানতে বাধ্য হয় জলদস্যুরা।
গত কয়েক বছরে আরব সাগর, এডেন উপসাগরে জলদস্যুদের তাণ্ডব বেড়েছে। বহুবার তারা বিভিন্ন দেশের নিশানধারী জাহাজে হামলা চালিয়েছে তারা। এহেন আক্রমণ ঠেকাতে আন্তর্জাতিক জলরাশিতে দস্যুদমন অভিযান শুরু করেছে আমেরিকা, চিন-সহ একাধিক দেশ। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও। নীল জলরাশিতে মুক্ত বাণিজ্য এবং নৌচালনার স্বাধীনতা বজায় রাখতে অতন্দ্র প্রহরীর কাজ করছে নৌসেনার রণতরীগুলো। এবারও তাদের তৎপরতায় রক্ষা পেলেন নাবিকরা।
জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইরানের একটি মাছ ধরার জাহাজ এফভি আল-কামবার ৭৮৬ জলদস্যুদের কবলে পড়ে। সাহায্যের জন্য অপহৃত জাহাজটি থেকে বার্তা পাঠানো হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে। খবর পেয়েই সেটি উদ্ধারের জন্য প্রথমে ছুটে যায় ভারতীয় রণতরী আইএনএস সুমেধা। তার কিছুক্ষণের মধ্যে অভিযানে নামে নৌসেনার ফ্রিগেট আইএনএস ত্রিশূল। শুক্রবার জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পায় অপহৃত জাহাজটি।
[আরও পড়ুন: কম্বোডিয়ায় ‘ক্রীতদাস’ ৫ হাজার ভারতীয় নাগরিক, উদ্ধার অভিযানে দিল্লি]
এই অভিযান নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে নৌসেনা জানিয়েছে, 'ইরানের মাছ ধরার জাহাজ এফভি আল-কামবার ৭৮৬কে অপহরণ করে নিয়েছিল জলদস্যুরা। জাহাজটিতে পাকিস্তানের ২৩ জন ছিলেন। ৯ জন জলদস্যু তাঁদের বন্দি বানিয়েছিল। অপহরণের খবর পেয়েই জাহাজটি উদ্ধারের জন্য পৌঁছে গিয়েছিলেন জওয়ানরা। প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযানের পর জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়। জাহাজে উপস্থিত সকলকেই সুস্থভাবে উদ্ধার করা হয়েছে।'
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সোমালিয়ার জলদস্যুদের খপ্পরে পড়েছিল একটি বাংলাদেশের জাহাজ। অপহরণের দুদিন পর সেটি উদ্ধার করেছিল নৌসেনা। এছাড়াও গত মাসে সোমালিয়ার পূর্ব উপকূলে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল ইরানের নিশানধারী একটি মাছ ধরার জাহাজ। খবর পেয়েই সেটি উদ্ধারের জন্য পৌঁছে যায় নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সারদা। পাকিস্তানি ও ইরানীয় নাবিক মিলে মোট ১৯ জন ছিলেন জাহাজটিতে। কিন্তু জলদস্যুদের পরাস্ত করে সকলে নিরাপদে উদ্ধার করেছিলেন জওয়ানরা।