সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড় সাধ নিয়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমিয়েছিলেন। আমেরিকার (USA) বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী হওয়ায় কেরিয়ারও ছিল উজ্জ্বল। আর সেই জোরে ম্যাসাচুসেটসে (Massachusetts)নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবসা দাঁড় করিয়েছিলেন। কিন্তু বছর দুয়েকের মধ্যে সাধের ব্যবসা উঠল লাটে। দেউলিয়া হয়ে শেষপর্যন্ত চরম সিদ্ধান্তের পথে হাঁটলেন ভারতীয় পরিবার। স্ত্রী, মেয়েকে নিয়ে আত্মঘাতী হলেন ভারতীয় ব্যবসায়ী রাকেশ কমল। ম্যাসাচুসেটসের বাড়ি থেকে তিনজনের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হল। পুলিশের অনুমান, দেউলিয়া দশা সইতে না পেরেই সকলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
২০১৯ সালে স্ত্রী টিনা ও মেয়ে আরিয়ানাকে নিয়ে ম্যাসাচুসেটসে স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করেন ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ রাকেশ কমল। তিনি বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়, MIT, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। উজ্জ্বল কেরিয়ার। স্ত্রী টিনা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে চলে যান হার্ভার্ডে। সেখানকার বিশ্ববিদ্যায়ের কৃতী ছাত্রী ছিলেন। তাই স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে প্রযুক্তি সংস্থা গড়ে তোলেন। মূলত পড়াশোনা সংক্রান্ত কাজ করত এই সংস্থা। ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠতেই ম্যাসাচুসেটসে ৪০ লক্ষ ডলার দিয়ে বিশাল বাংলো কিনেছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালে তাঁদের এই সংস্থা দেউলিয়া (Bankrupt) হয়ে যায়। তার পর তা উদ্ধারে নানা জায়গায় ঘুরতেন রাকেশ-টিনা। তাতেও তেমন কিছু হয়নি। পরে বাধ্য হয়ে নিজেদের বিশাল বাংলো কম দামে বিক্রি করে দেন। তাতেও সংস্থাকে উদ্ধার করা যায়নি।
[আরও পড়ুন: হানিমুনে গিয়ে সেলফি তোলাই কাল! বিয়ের ২০ দিনের মাথায় মৃত্যু নববধূর]
এদিকে মেয়ে আরিয়ানারও বিলাসবহুল জীবনযাত্রা। ১৮ বছরে পা দেওয়া আরিয়ানা দামি বেসরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। বছরে যার খরচ প্রায় ৬৫ হাজার ডলার। সেই খরচ বহন করাও দুঃসাধ্য হচ্ছিল। ফলে ক্রমশ হতাশায় ডুবে যাচ্ছিল কমল দম্পতি। বৃহস্পতিবার নিজেদের বাড়িতেই তিনজন আত্মঘাতী (Suicide) হন। রাকেশ কমলের দেহের পাশে বন্দুক (Gun) উদ্ধার করেছে নরফোক পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, বন্দুকের গুলিতেই আত্মহত্যা করেছেন রাকেশ, টিনা, আরিয়ানা।