সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে WHO অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভুমিকা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে। সংস্থার কার্যকারিতা, দুর্নীতি, চিন প্রীতি, প্রশ্নের মুখে পড়েছে এমন একাধিক বিষয়। এরই মধ্যে পথচলা শুরু করে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহকারী সংগঠন WHO ফাউন্ডেশন। আর এই সংস্থার প্রথম সিইও হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিল সোনি।
করোনা পরিস্থিতিতে WHO-কে সাহায্য করার জন্য এবছরই WHO ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর সদর দপ্তরও জেনিভাতেই। এই সংস্থাটি আর্থিক অনুদানের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সাহায্য করবে। এর কাজ হল, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সেইসব সংস্থা বা সংঠনকে খুঁজে বের করা, যারা কিনা বিভিন্নভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যপারে সাহায্য করতে পারে। মুলত, এই সংস্থার হাত ধরেই বিভিন্ন ছোট সংস্থার কাছে অনুদান পৌঁছে দেবে WHO। তাই করোনা এবং পরবর্তীকালেও এর বাড়তি গুরুত্ব আছে।
[আরও পড়ুন: আছড়ে পড়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ! পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা নামাচ্ছে জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া]
এ হেন সংস্থার প্রথম সিইও হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। অনিল সোনি (Anil Soni) ভায়াট্রিস নামের এক সংস্থা থেকে WHO ফাউন্ডেশনে যোগ দিয়েছেন। নিজের পুরনো সংস্থায় তিনি সংক্রমক রোগ নিয়েই কাজ করতেন। WHO ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব নিয়ে তিনি বলছিলেন,”করোনার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকমাসের লড়াইয়ের পর আশার আলো দেখা যাচ্ছে। তবে, এই ভ্যাকসিন তৈরিতে বাড়তি গুরুত্ব দিতে গিয়ে অন্য অনেক ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ কমে গিয়েছে। বিশ্বব্যাপী টিকা সরবরাহ, এইচআইভি চিকিৎসা, ক্যানসার চিকিৎসা উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে।” অনিল সোনি বলছেন, WHO ফাউন্ডেশন এই সব ক্ষেত্রে নতুন গবেষণা, নতুন আবিষ্কারের দিগন্ত খুলে দেবে।”
[আরও পড়ুন: করোনায় বিপর্যস্ত মার্কিন মুলুক, জনতাকে আশ্বস্ত করতে টিকা নেবেন ৪ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট]
আসলে করোনা আবহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যপদ্ধতি নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই সংস্থার উপর চিনের প্রভাব নিয়েও বিস্তর অভিযোগ করেছে আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে নতুন স্বাধীন সংঠন তৈরি করে কিছুটা হলেও স্বচ্ছ্বতা ফেরানোর চেস্তা করল WHO।