shono
Advertisement

ব্রিটেনের মসনদের আরও কাছে ঋষি সুনাক, চতুর্থ রাউন্ডেও দৌড়ে এগিয়ে ভারতের জামাই

ঋষির পথের কাঁটা বরিসের দুই পছন্দের প্রার্থী।
Posted: 08:49 PM Jul 19, 2022Updated: 09:47 PM Jul 19, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রিত্বের (British PM) দৌড়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। ঝুলিতে বাড়ালেন ভোটও। অর্থাৎ দলের মধ্যে ঋষির পক্ষে বাড়ছে সমর্থন। এদিকে এদিনের ভোটপ্রক্রিয়ার পর প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড় থেকে ছিটকে গেলেন আরেক জনপ্রতিনিধি কেমি বাডেনোচ। ফলে এবার লড়াইটা দাঁড়াল তিন প্রতিযোগীর মধ্যে। যাদের মধ্যে আবার দুজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের প্রার্থী।

Advertisement

ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার জন্য এদিন চতুর্থদফা ভোটদান করলেন কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা। মঙ্গলবার সন্ধেয় পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বরিস জনসনের মন্ত্রিসভার প্রাক্তন চ্যান্সেলর ঋষির ঝুলিতে এসেছে ১১৮টি ভোট। আগের দফায় তাঁর পকেটে ছিল ১১৫। তবে প্রধানমন্ত্রী পদের যোগ্যতম প্রার্থী হতে হলে প্রয়োজন দলের দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন। অর্থাৎ ১২০টি ভোট। সেই ফিনিশিং লাইন থেকে সামান্য দূরে রয়েছেন ঋষি।

[আরও পড়ুন: রাজ্যের নাম বদল প্রসঙ্গ এবার সংসদে, মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী]

এদিনের ভোটপ্রক্রিয়ায় শেষে ঋষির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট। পেয়েছেন ৯২টি ভোট। ৮৬টি ভোট পেয়ে এখনও প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে টিকে রয়েছেন বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, নিজের উত্তরসূরি হিসেবে ঋষিকে মোটেও পছন্দ নয় বরিসের। বরং তাঁর পছন্দের দুই প্রার্থী পেনি মর্ডান্ট এবং লিজ ট্রাস। প্রধানমন্ত্রী পদে যোগ্যতম প্রার্খী হওয়ার জন্য তাঁর পথের সবচেয়ে বড় কাঁটা এই দুজনই। আরও কয়েকদফা ভোটের পর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৫ সেপ্টেম্বর।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হন বরিস জনসন । কিন্তু গত দু’বছর ধরেই তিনি একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে দলের মধ্যে অনেকের আস্থা হারিয়েছেন। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা তিনি খেয়েছেন ক্রিস পিনচার ইস্যুতে। ২০১৯ সালে ক্রিস পিনচার (Chris Pincher) নামে এক বর্ষীয়ান রাজনীতিককে মন্ত্রিসভায় এনেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারি-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল সেসময়। এমন একজনকে কেন প্রশাসনে আনা হল, তার জবাবে জনসন কার্যত দায়সারাভাবেই জানিয়েছিলেন, পিনচার সম্পর্কে এসব তথ্য তাঁর কাছে ছিল না। কিন্তু পরে সরকারি এক মুখপাত্রই জানান যে প্রধানমন্ত্রী যা বলছেন, তা অসত্য। তারপরই দলীয় বিদ্রোহে গদি ছাড়তে হয় তাঁকে। এখন বরিসের যোগ্য উত্তরসূরির খোঁজে ব্রিটেনবাসী।

[আরও পড়ুন: রাজ্যের নাম বদল প্রসঙ্গ এবার সংসদে, মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement