সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনা বা আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের জন্য কেনা একটা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের দাম দেড় লক্ষ টাকা। পনেরো থেকে আঠেরো কেজি ওজন এক একটা জ্যাকেটের। এবার পরিবর্তন আসতে চলেছে। আসছে নতুন জ্যাকেট।
[আর কয়েক বছর পর থেকে এই কারণেই মিলবে না পানীয় জল]
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই জ্যাকেট ওজনে যেমন হাল্কা, তেমনই হাল্কা দামেও। ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র মিলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির কাছ থেকে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি জ্যাকেটটিতে রয়েছে থার্মোপ্লাস্টিক। ওজনে খুব হালকা হওয়ায় ব্যবহারের উপযুক্ত জ্যাকেট এবার সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে শুধু সেনাই নয়, এই জ্যাকেট ব্যাবহার করতে পারবে বিএসএফ, সিআরপিএফ ও পুলিশকর্মীরাও।
ডিআরডিও এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগে কাজ শুরু হতে চলেছে। খতিয়ান বলছে, গত ৭০ বছরে এই প্রথমবার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের পরিমার্জন করা হচ্ছে, তাও দেশীয় প্রযুক্তিতে।
[ডেটা পরিষেবায় দেশকে সাফল্যের নয়া উচ্চতায় পৌঁছে দিল Jio]
আমেরিকা থেকে আমদানি করা বর্তমান জ্যাকেটগুলোর বদলে নতুন তৈরি জ্যাকেট কিনলে ভারতের প্রতিরক্ষাখাতে সঞ্চয় হবে প্রতি বছরে কুড়ি হাজার কোটি টাকা। কারণ এক একটা নতুন জ্যাকেটের দাম পড়বে পঞ্চাশ হাজার টাকা।
ওই যে আগেই বললাম, দামে যেমন হালকা, তেমনই ওজনে। এখনকার জ্যাকেটের তুলনায় নতুন জ্যাকেট কমপক্ষে ছয় থেকে আট গুণ কম ভারি। ওজন মাত্র দেড় কেজি। কুড়িটি স্তর বিশিষ্ট জ্যাকেটটিতে কার্বনের আস্তরণ থাকছে। ফলে ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও স্বচ্ছন্দে সক্রিয় থাকবে এই জ্যাকেট।
[বর্ণবিদ্বেষের শিকার ভারতীয় দম্পতিকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ ব্রিটিশ আদালতের]
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেক ইন ইণ্ডিয়া প্রজেক্টের অন্তর্গত প্রকল্প হিসেবে জ্যাকেটটি তৈরি করেছেন একজন বাঙালি বিজ্ঞানী। শান্তনু ভৌমিকের হাতে রূপ পেলেও, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই জ্যাকেটটি তৈরির কাজ শুরু হবে।