স্টাফ রিপোর্টার: আকাশ থেকে নেমে আসছে হাজার হাজার, শক্তিশালী সেনাবাহিনীর মতো। ওরা অদৃশ্য, তবে প্রভাব বোঝা যায়। ভূমি স্পর্শ করে যখন, মুহূর্তে ভিজে যায় সব। মাঠ, সেই ‘সেনাবাহিনী’র সংস্পর্শে আসা সব কিছু। শিশির, ওদের নাম শিশির! আরব আমিরশাহীর দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যা প্রবল ভোগাচ্ছে টিমগুলোকে। ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে টস নিয়ে।
টস জিতলে ফিল্ডিং নিতে দু’বার ভাবছেন না অধিনায়ক। কারণ, পরের দিকে বল গ্রিপ করাই প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে শিশিরের আধিক্যে। বিশেষ করে স্পিনাররা তো নাকানিচোবানি খাচ্ছেন। পাকিস্তান ম্যাচে ভারতীয় রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী বল করবেন কী, বলই গ্রিপ করতে পারছিলেন না ঠিক করে। দেখাও যাচ্ছে, দুবাইয়ে অধিকাংশ ম্যাচই পরে ব্যাট করা টিম জিতছে। বড়সড় ব্যতিক্রম, দিন পনেরো আগে আইপিএল ফাইনাল (IPL 2021)। চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) সেদিন প্রথমে ব্যাট করে এত বিশাল রান তুলে ফেলেছিল যে, কেকেআর (KKR) একটা সময়ের পর দাঁড়াতেই পারেনি।
[আরও পড়ুন: T-20 World Cup: জয়ের হ্যাটট্রিক পাকিস্তানের, আফগানিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাবর আজমরা]
বিরাট কোহলির ভারতীয় টিমও (Team India) যা নিয়ে প্রবল দুর্ভাবনায়। পাকিস্তানের কাছে বিশ্বকাপের (T-20 World Cup 2021) প্রথম ম্যাচ দশ উইকেটে হারার পর নিয়মিত চর্চায় থেকে রবিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য প্রথম একাদশ। যেমন এক, হার্দিক পাণ্ডিয়াকে খেলানো উচিত হবে কি না। শার্দূল ঠাকুর সুযোগ পাবেন কি না। তিন, বরুণ চক্রবর্তীর উপরই ভরসা রাখা হবে, নাকি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জীবন-মৃত্যুর ম্যাচে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে খেলানো উচিত? খবর যা, তাতে দুবাইয়ের রাতের শিশির ফ্যাক্টরকে মাথায় রেখে লেগস্পিনার রাহুল চাহারকে খেলানো যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা নাকি শুরু করে দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ফিঙ্গার স্পিনারের যতটা সমস্যা হয় শিশিরের মধ্যে বল গ্রিপ করতে, রিস্টস্পিনারের সেটা হয় না। তাই রাহুলের নামটাও মাথায় ঘুরছে টিম ম্যানেজমেন্টের।
হার্দিক পাণ্ডিয়া, (Hardik Pandya) তিনি আর এক হেঁয়ালি। সম্প্রতি নেটে বল করা শুরু করেছেন হার্দিক। খুব ওলটপালট না হলে, তিনি আবারও খেলছেন। আসলে তিনি বল করুন বা না করুন, টিম ম্যানেজমেন্টের পূর্ণ আস্থা রয়েছে হার্দিকের উপর। এক ওয়েবসাইট খবর করেছে যে, আইপিএলে হার্দিকের অবস্থা দেখে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল নির্বাচক কমিটি। কিন্তু টিম মেন্টর মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) নাকি সেটা আটকে দেন। ফিনিশার হার্দিকের উপর অগাধ আস্থা ধোনির। একা ধোনির নয়, পুরো টিম ম্যানেজমেন্টেরই। ম্যাচের আগে যা পূর্বাভাস, তাতে গনগনে ফর্মে থাকা ঈশান কিষানকে হয়তো ফের বসতেই হবে। তবে শার্দূল ঠাকুর ঢুকে পড়তে পারেন টিমে। ভুবনেশ্বর কুমারের ফর্ম ভাল নয়। আহামরি গতিতেও বল করছেন না।
[আরও পড়ুন: কাজে দিল না লিটন দাসের লড়াই, পোলার্ডদের কাছে হেরে বিশ্বকাপ সফর শেষ বাংলাদেশের]
তবে আমিরশাহীর শিশির ছাড়াও নিউজিল্যান্ড টিমে আছেন একজন, যাঁর প্রত্যাবর্তন ক্ষুধা ভোগাতে পারে ভারতকে। অ্যাডাম মিলনে। প্রথমে বিশ্বকাপ টিমে জায়গাই পাননি মিলনে। কিন্তু ভয়াল গতির পেসার লকি ফার্গুসন কাফ মাসলের চোটে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যাওয়ায় টিমে ঢুকেছেন মিলনে। যিনি নিউজিল্যান্ডের কাগজপত্রে বলে দিয়েছেন, “বাদ পড়েছিলাম যখন, খুব খারাপ লেগেছিল। দেখাতে হবে, আমি টিমে থাকার যোগ্য।” আর তথ্যের খাতিরে বলে রাখা ভাল, মিলনের বলের গতিও খুব একটা কম নয়। ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার!