সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধ আবহেই রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৃতীয়বার মসনদে বসার পর এটা তাঁর দ্বিতীয় বিদেশ সফর। মস্কো-দিল্লি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কৌশলগত দিক থেকে আরও মজবুত করতে তাঁর এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নমোকে স্বাগত জানানোর জন্য উচ্ছ্বসিত রাশিয়ার প্রবাসী ভারতীয়রাও। নাচে-গানে সারা হচ্ছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মস্কোয় পৌঁছে তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতা করবেন মোদি। জানা গিয়েছে, তাঁর কাছে একগুচ্ছ দাবি জানাবেন প্রবাসী ভারতীয়রা।
দুদিনের সফরে সোমবারই মস্কোয় পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ২২ তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। পরেরদিন অর্থাৎ ৯ জুলাই রুশ প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাতে ব্যস্ত থাকবেন মোদি। ভারতীয় সংস্কৃতি মেনে গরবা, কত্থক নাচের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হবে তাঁকে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, নমোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর তাঁর কাছে একগুচ্ছ আবেদন জানাবেন প্রবাসী ভারতীয়রা। তালিকায় প্রথমেই রয়েছে হিন্দু মন্দির, নতুন ভারতীয় স্কুল এবং এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের সংখ্যা বৃদ্ধি। অনুরোধ জানানো হবে রাশিয়ায় আয়ুর্বেদকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্যও। মস্কোর আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক এম ম্যাথিউয়ের কথায়, "রাশিয়ায় অনুমোদিত চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে আয়ুর্বেদকে এখনও স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাতে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।"
[আরও পড়ুন: যুদ্ধের বলি শৈশব! ইউক্রেনের শিশু হাসপাতালে হামলা রাশিয়ার, নিহত অন্তত ২৪]
এছাড়া সোমবার সম্মেলনের বাইরে একাধিক বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মোদির। তাঁর জন্য বিশেষ নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দুজনে একান্তে খাওয়াদাওয়া সারবেন। সূত্রের খবর, মোদির জন্য মেনুতে থাকছে গুজরাটি নানা পদও। মঙ্গলবার নমো ক্রেমলিনেও যেতে পারেন বলে খবর। সব মিলিয়ে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির।
মোদির এই সফর নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ক্রেমলিন। এনিয়ে এক রুশ টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়াকে একহাত নিয়ে রুশ প্রশাসনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের দাবি, ”ওরা তো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের দিকে চোখ মেলে আছে ঈর্ষান্বিত হয়ে। আর আমাদের কাছে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা সফর। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে একাধিক তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা এবং তাতে দুদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশাবাদী আমরা।” মোদির এই সফর নিয়ে আশাবাদী নয়াদিল্লিও।