সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লন্ডনে দাঁড়িয়ে ভারতীয় গণতন্ত্রের ভূয়সী প্রশংসা করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। তাঁর কথায়, “সারা বিশ্বের মানদণ্ডে কার্যকারিতার ভিত্তিতে ভারতীয় গণতন্ত্র সবচেয়ে এগিয়ে।”
মসনদে বসার প্রায় আট মাস পরে আজ শনিবার রাজ্যাভিষেক হতে চলেছে রাজা তৃতীয় চার্লসের। প্রায় ৭০ বছর আগে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজ্যাভিষেকের পর প্রথম হতে চলা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। গতকালই তিনি লন্ডনে পৌঁছে গিয়েছেন।
অনুষ্ঠানেক ফাঁকে আজ লন্ডনে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে উঠেন ধনকড়। সেখানে তিনি বলেন, “সারা বিশ্বের মানদণ্ডে কার্যকারিতার ভিত্তিতে ভারতীয় গণতন্ত্র সবচেয়ে এগিয়ে। ” তিনি আরও বলেন, “প্রবাসীদের নিয়ে ভারতবর্ষ গর্ব বোধ করে। এখানে প্রায় ১৭ লক্ষ আর গোটা বিশ্বে ৩ কোটি ২০ লক্ষ প্রবাসী ভারতীয় ছড়িয়ে রয়েছেন। তাঁরা সপ্তাহের সাতদিন চব্বিশ ঘণ্টাই দেশের দূত হয়ে কাজ করছেন।”
[আরও পড়ুন: বিপর্যয় ডেকে আনছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা! নাদেলা, পিচাইয়ের সঙ্গে জরুরি আলোচনায় বাইডেন]
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ঘরে ও বাইরে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ধ্বংসের যে অভিযোগ উঠছে তারই পালটা দিলেন ধনকড়। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে লন্ডনে বসে ভারতীয় গণতন্ত্রের ‘বিপন্নতা’র কথা বলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর ব্রিটেনে রাহুল বলেন, “ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন। এই বিষয়ে ইউরোপ ও আমেরিকার মতো গণতন্ত্রের রক্ষকরা উদাসীন কেন? তাদের হস্তক্ষেপ করা উচিত।” এই বিতর্কের জেরেই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়। পালটা, রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ ইস্যুতে বিদেশ থেকেও চাপ আসা শুরু করেছে মোদি সরকারের উপর। আমেরিকা গোটা বিষয়টি নজরে রাখার বার্তা দিয়েছে। তারপর জার্মানিও ঘুরিয়ে রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে মোদি (Narendra Modi) সরকারকে বুঝিয়ে দেও তারাও বিরোধীদের মৌলিক বাক স্বাধীনতার পক্ষে।