সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনিই ছিলেন দেশের প্রথম করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত। কেরলের (Kerala) ত্রিচুরের সেই তরুণীর শরীরে ফের ধরা পড়ল সংক্রমণ। তবে তাঁর শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ নেই বলেই জানা গিয়েছে। আপাতত নিজের বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলেও পরে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় ধরা পড়ে সংক্রমণ।
সম্প্রতি পড়াশোনার জন্যই দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। সেজন্যই করোনা পরীক্ষা করাতে হয়। আর তখনই ধরা পড়ে তিনি কোভিড পজিটিভ। যদিও তাঁর পরিবারের আর কোনও সদস্যের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েনি। তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, কিছুদিন আগে করোনা টিকার প্রথম ডোজও নিয়েছিলেন ওই তরুণী। তবুও রোখা গেল না সংক্রমণ।
[আরও পড়ুন: ট্যুরিস্ট স্পটের ভিড় নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রধানমন্ত্রীর, তৃতীয় ঢেউকে রুখে দেওয়ার আরজি]
চিনের মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী ছিলেন তিনি। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে যখন চিনে (China) অতিমারীর সূচনা হয় , সেই সময় দেশে ফিরে আসেন ওই ছাত্রী। এরপরই তাঁর শরীরে ধরা পড়েছিল করোনা সংক্রমণ। দেশের মধ্যে সেই প্রথম দেখা মিলেছিল মারণ ভাইরাসের প্রকোপের। তাঁকে হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল ২৪ দিন। এই দীর্ঘ সময় পিপিই কিট পরেই থাকতে হয়েছিল তাঁকে। পরে তিনি জানিয়েছিলেন, যেহেতু তিনি মেডিক্যাল পড়ুয়া তাই তাঁর পক্ষে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সহজ হয়েছিল। পরে তাঁর দুই সহপাঠীর শরীরেও ধরা পড়েছিল করোনা সংক্রমণ।
একবার করোনা আক্রান্ত হয়ে ফের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খুব বিরল নয়। ISMR জানিয়েছিল, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়কালে দেশে একই রোগীর দু’বার করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৪.৫ শতাংশ ক্ষেত্রে। যদিও এই বছরের এপ্রিলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর ১০ শতাংশের বেশি মানুষের শরীরে দ্বিতীয় বারের জন্য সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লির IGIB।