সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ থেকে প্রায় ১৯ বছর আগের কথা। ২০০২ সালের অক্টোবর মাসের এক সন্ধ্যায় কয়েকটি নাইট ক্লাবে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়ার বালি। অস্টেলিয়ার ৮৮ জন নাগরিক-সহ প্রাণ হারিয়ে ছিলেন ২০০ জনের বেশি মানুষ। শুক্রবার সেই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত ও কুখ্যাত ইসলামিক ধর্মপ্রচারক ৮২ বছরের আবু বকর বশিরকে মুক্তি দিল ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)’র সরকার। আল কায়েদা ও আইএসআইএস জঙ্গিদের সঙ্গে এই ধর্মীয় নেতার যোগাযোগ আছে বলেও অভিযোগ।
২০০২ সালের হামলার তদন্তে নেমে এই ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন জামেয়া ইসলামিয়া (JI) যুক্ত রয়েছে বলে জানতে পারে পুলিশ। আল কায়েদার মদতপুষ্ট ওই সংগঠনের ধর্মীয় নেতা ও ইসলামিক ধর্মপ্রচারক আবু বকর বশির (Abu Bakar Bashir) এই পরিকল্পনার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী বলেও খবর পান তদন্তকারীরা। এরপরই বাকি অভিযুক্তদের সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার বিচার শুরু হয়। ২০১১ সালে ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে আবু বকর বশিরকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক। তারপর থেকে জেলেই ছিল নিজেকে ওসামা বিন লাদেনের ভক্ত বলে দাবি করা ওই ধর্মপ্রচারক নেতা।
[আরও পড়ুন: FATF-এর বৈঠকের নয়া ছক পাকিস্তানের! মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে জারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ]
কিন্তু, বছর দুয়েক আগে আচমকা আবু বকর বশিরকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। এরপরই সেখানকার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াতেও বিক্ষোভ শুরু হয়। বালি (Bali) দ্বীপের নাইট ক্লাবগুলিতে মৃত্যু হওয়া মানুষগুলির পরিবার গর্জে ওঠে। প্রতিবাদের তীব্রতায় পিছিয়ে সাময়িকভাবে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয় ইন্দোনেশিয়া। আচমকা এই সপ্তাহের প্রথমে বশিরকে ফের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানায় প্রশাসন। বয়সজনিত শারীরিক অসুস্থতার কারণেই মানবিকতার খাতিরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে ঘোষণা করা হয়। সেই অনুযায়ী শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে পাঁচটার সময় কুখ্যাত ওই ধর্মীয় নেতাকে মুক্তি দেওয়া হয়। ইন্দোনেশিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে জাকার্তায় অবস্থিত গানুঙ্গ সিন্দুর জেল থেকে একটি গাড়ি করে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় তাকে।
এদিকে এই খবর শোনার পরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় অস্ট্রেলিয়া। তাদের বিদেশমন্ত্রী জানান, আবু বকর বশির ইসলামিক জেহাদের জন্য যাতে উসকানি না দিতে পারে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ইন্দোনেশিয়ার সরকারেরই।