সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) কারাগারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এই ঘটনায় অন্তত ৪১ জন কয়েদির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত বেশ কয়েকজন।
[আরও পড়ুন: তালিবান শাসনে আফগানিস্তানে চরম খাদ্য সংকট! সংশয় ন্যূনতম পরিষেবা নিয়েও]
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, বুধবার ভোরে ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের একটি কারাগারে আগুন লাগে। এবং আশ্চর্যজনক ভাবে অত্যন্ত দ্রুত কারাগারে ছড়িয়ে পড়ে লেলিহান শিখা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা চত্বর। সেই সময় বন্দিদের অধিকাংশই ঘুমিয়ে ছিল। তাই সময় থাকতে অনেকেই বেরিয়ে আসতে পারেনি। ফলে ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে ও দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪০ জন কয়েদির। আরও বেশ কয়েকজন বন্দি গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের অনেকরই শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন।
রাজধানী জাকার্তার অদূরে তাঙ্গেরাং জেলের এই ঘটনা নিয়ে বিবৃতি জারি করেছেন জাকার্তার পুলিশপ্রধান ফাদিল ইমরান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এই ঘটনায় ৪১ জন কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছে আটজন বন্দি। অন্তত ৭২ জন আঘাত পেলেও তাদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে একটি শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তবে তদন্ত চলছে।”
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ার জেলগুলিতে ক্ষমতার বেশি বন্দি রাখার অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে অগ্নিনির্বাপণ ও সুরক্ষার বিষয়টিকে সেই অর্থে গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলেও দাবি অনেকের। তাঙ্গেরাং জেলে মূলত মাদক পাচারকারীদের রাখা হয়। তবে ৬০০ জনের জন্য তৈরি কারাগারটিতে এই মুহূর্তে অন্তত ২ হাজার জন বন্দি রয়েছে।ফলে অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা ঘটলে তার দ্রুত মোকাবিলা কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। এবার তাঙ্গেরাং কারাগারের ঘটনা ফের পরিস্থিতির ভয়াবহতা স্পষ্ট করে তুলছে।