রমেন দাস: রাত পোহালেই জামাইষষ্ঠী। সকালে থেকেই শ্বশুর বাড়িতে জামাই আদর শুরু হয়ে যাবে। জামাতাকুলের অনেকেই আবার গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন আজ মঙ্গলবার। কিন্তু তার আগে শ্বশুর-শাশুড়িকে চিন্তায় রাখছে বাজার দর। চড়া বাজারে জামাইকে খুশি করতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। আলু থেকে আম সবকিছুতেই হাত লাগাতেই ছেঁকা লাগার অবস্থা। মাছ-মাংসের দর নিয়ে কথা বলাই বাহুল্য।
বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণে জামাইষষ্ঠী মূলত রসনাতৃপ্তির উৎসব। ফলে কন্যা-জামাতার আপ্যায়নে কোনও ত্রুটি যেন না থাকে তা নিশ্চিত করতে চান প্রত্যেক শ্বশুর-শাশুড়িই। কিন্তু মাছ, মাংস দূরের কথা, ফলের রাজা আম কিনতে গিয়ে ভিরমি খাওয়ার অবস্থা। ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আম। লিচুও খুব স্বস্তি দিচ্ছে না। ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে লিচু বিকোচ্ছে বাজারে।
[আরও পড়ুন: ‘যোগ্যশ্রী’ প্রকল্পের আওতায় সংখ্যালঘু, ওবিসি, জেনারেল পড়ুয়ারাও, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
শুধুমাত্র ফলের বাজারে নয়, আগুন লেগেছে সবজি বাজারেও। জ্যোতি আলুর কেজি প্রতি দাম উঠেছে ৩০ টাকায়। চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে। বেগুনের দর গিয়ে ঠেকেছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। পটলের দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা। উচ্ছে বিকোচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা কেজি। আদা ২৫০। কাঁচালঙ্কার দাম ছুঁয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
মাছ, মাংসের ক্ষেত্রেও বাজার অগ্নিমূল্য। কাটা মুরগির দর কেজি প্রতি ২৬০ টাকার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮২০ থেকে ৮৪০ টাকায়। চিংড়ি ৫০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা। রুই মাছের দর ছুঁয়েছে ৪০০। ইলিশ মাছের দাম আকাশছোঁয়া। ৯০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিকোচ্ছে জলের 'রুপোলি শস্য'। পিছিয়ে নেই পাবদা মাছও। বিকোচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। সব মিলিয়ে জামাইষষ্ঠীর বাজারে ব্যাগের থলি নিয়ে বেরনোর পর শ্বশুরদের যে ভালোমতো 'গ্যাটের কড়ি' খরচ করতে হবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
[বাজারভেদে এই দাম কমতে বা বাড়তে পারে।]