সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: শরীরে তিরবিদ্ধ অবস্থায় যন্ত্রণায় কাতর একটি দাঁতাল উদভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। যে কোনও সময় আক্রমণাত্মক হয়ে মানুষকে আক্রমণ করতে পারে। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বারবার হাতিকে না উত্যক্ত করা বা তাকে লক্ষ্য করে লোহার শলাকা না ছোঁড়া বা অন্য কিছু দিয়ে আঘাত না করার জন্য বার্তা দিচ্ছে। পাশাপাশি হাতি সংক্রান্ত বিভিন্ন গ্রুপগুলির পক্ষ থেকেও হাতিকে যাতে বিরক্ত না করা হয় সে জন্য নিত্যদিন আরজি জানানো হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও হাতিকে উত্যক্ত করার মতো চিত্র বারবার সামনে আসছে।
খড়গপুর ডিভিশনের কলাইকুন্ডা রেঞ্জের ধাতকি, খুদমড়াই এলাকায় একটি দাঁতালকে তিরবিদ্ধ অবস্থায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দাঁতাল ওই হাতিটির শরীরে তিনটি তির আটকে আছে। পিঠের দিকে দুটি এবং পিছনের পায়ে একটি তির আটকে আছে। এদিকে এই বিষয়টি জানতে পেরেই রাজ্য বনদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা সাথে সাথে বনদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারাও দ্রুত
ব্যবস্থা নিয়েছে। হাতিটির তির বার করা এবং চিকিৎসার জন্য যা প্রয়োজন তা করতে বলেছেন বনদপ্তরকে।
[আরও পড়ুন: ‘তিহাড় জেলে ধোঁয়া বেরিয়ে গিয়েছে’, অনুব্রতকে বেনজির আক্রমণ শুভেন্দুর]
এদিকে, বনদপ্তরের পক্ষ থেকে হাতিটিকে খোঁজার চেষ্টা চলছে। তবে হাতিটির শরীরে তির লেগে থাকার কারণ যন্ত্রনায় অস্থির হয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরে যাচ্ছে। এদিন শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত হাতিটি দেখা গিয়েছে কলাইকুন্ডা রেঞ্জের ধাতকি, খুদমড়াই এলাকার ছোড়দার জঙ্গলে। কিন্তু বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে হাতিটিকে এদিন সন্ধে পর্যন্ত লোকেট করা বা ঠিক কোথায় আছে তা জানা যায়নি। হাতিটিকে ট্রাক করার জন্য বনদপ্তরের লোকজন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বন সুরক্ষা কমিটি গুলির সাথেও যোগাযোগ রেখে তিরবিদ্ধ হাতিটিকে ট্রাক করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগে জামবনি ব্লকের একটি জঙ্গলেও একইভাবে একটি হাতিকে তিরবিদ্ধ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। পরে বনদপ্তরের চেষ্টায় তির বার করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, তিরটি শরীরে বেশি দিন থাকলে পচন ধরতে পারে। তাই বনদপ্তর হাতিটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে বনদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, “খবর পেয়েছি। বিষয়টি জানতে পেরেই খড়গপুরের ডিএফওকে হাতিটির শরীর থেকে তির বার করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছি।” অন্যদিকে, খড়গপুর ডিভিশনের ডিএফও শিবানন্দ রাম বলেন, “হাতিটিকে ট্র্যাক করার চেষ্টা চলছে। আমরা হাতিটিকে ট্র্যাক করতে পারলেই তির বার করার জন্য যা যা করার তাই করব।”