বিক্রম রায়, কোচবিহার: সরস্বতী পুজোর দিন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা। মঙ্গলবার সন্ধেয় মারধর, ভাঙচুর, গুলিচালনার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য। দিনহাটার তৃণমূল নেতা তথা তৃণমূল যুব সংগঠনের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা সামনে চলে এল। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গিয়েছে, দিনহাটা কলেজে এদিন সরস্বতী পুজো চলাকালীন দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। দিনহাটার পুরপ্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য জয়দীপ ঘোষ বনাম যুব নেতা সাবির চৌধুরী, অজয় রায়ের দলবদলের বাকবিতণ্ডা বাঁধে পুজো চলাকালীন। অভিযোগ, জয়দীপ ঘোষের সমর্থকরা সাবির ও অজয়কে ব্যাপক মারধর করে। এরপর পালটা দিতে আবার জয়দীপ ঘোষের বাড়ির সামনে ২৫, ৩০ জন মিলে জমায়েত করেন। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বাড়ির সামনে থাকা বাইক, বাস ইত্যাদিতেও ভাঙচুর চলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা শূন্যে দু রাউন্ড গুলি চালিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘জয় হিন্দ বাহিনী’র সঙ্গে নাম জড়িয়ে দেওয়াল লিখন মাওবাদীদের! ভোটের আগে তোলপাড় ঝাড়গ্রামে]
ঘটনার খবর পেয়ে পুরপ্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য জয়দীপ ঘোষের বাড়িতে যান দিনহাটার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক উদয়ন গুহ। তাঁর সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক। তাঁর কথায়, ”পুলিশকে বলেছি, এ ধরনের ঘটনায় যে-ই জড়িত থাকুক, দলমত নির্বিশেষে দোষীদের শনাক্ত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।” অপরপক্ষ অর্থাৎ দুই যুব নেতা সাবির ও অজয় রায়ের তরফে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। প্রসঙ্গত, কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। উদয়ন গুহ গোষ্ঠীর সঙ্গে জেলার বহু তৃণমূল নেতারই মনোমালিন্য রয়েছে। বিধায়ক উদয়ন গুহও অনেক সময়ে দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। সম্প্রতি টিএমসিপি (TMCP) অর্থাৎ তৃণমূলের ছাত্রনেতাদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য বেশ বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও কোচবিহারে বারবারই তার প্রতিফলন ঘটছে।