মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: দলের প্রতিষ্ঠাতার জন্মবার্ষিকীতেও গোষ্ঠীকোন্দল এড়াতে পারল না বিজেপি। একই দিনে দুই জায়গায় দুটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ফের বিতর্কে জড়াল হাওড়া গ্রামীণের গেরুয়া শিবির। শনিবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Shyamaprasad Mukherjee) জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে হাওড়া গ্রামীণের পার্টি অফিসে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে বিজেপি। অন্যদিকে ওই দলীয় কার্যালয় থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরে আরও একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন বিজেপির প্রাক্তন হাওড়া জেলা গ্রামীণ জেলা সভাপতি অনুপম মল্লিকের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) দ্বারা পরিচালিত আরোগ্য ভারতীর ব্যানারে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। অথচ তিনি জেলা অফিসে গেলেন না। তা নিয়েই শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব।
সংঘের অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব ছবি।
এনিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতেই হাওড়া (Howrah) গ্রামীণের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি অনুপম মল্লিকের বক্তব্য, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে প্রত্যেকটি বুথে অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী ওই বুথে তিনি আমন্ত্রণ পেয়ে যান। এখানেও বিজেপি (BJP) কর্মীরা এসেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, জেলা অফিস থেকে রক্তদান শিবিরের জন্য ডাক পাননি। যদিও বর্তমান বিজেপি সভাপতি অরুণ উদয় পালচৌধুরী বলেন, ফেসবুক (Facebook) পোস্টের মাধ্যমে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যাঁরা রক্তদান শিবিরে এসেছিলেন, তাঁরা সকলেই বিজেপি কর্মী। তিনি এও দাবি করেন, বিজেপি একটাই পরিবার। এনিয়ে কে কী বললেন, তাতে কিছু এসে যায় না।
[আরও পড়ুন: অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন এলাকা, মালদহে ভুক্তভোগীদের বিক্ষোভের মুখে বিজেপি সাংসদ]
তবে একটা রক্তদান শিবির নিয়ে বিজেপির এহেন কীর্তিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি জেলা তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। হাওড়া জেলা গ্রামীণের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি এবং উলুবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাসের প্রতিক্রিয়া, ''রক্তদান শিবির ঘিরেও বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। ওরা মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে নানা গোষ্ঠীতে বিভক্ত। ওদের কোনওদিনই বাংলা দখলের স্বপ্ন পূরণ হবে না।'' শুধু এখন নয়, লোকসভা ভোটের সময়ও উলুবেড়িয়া আসনে বিজেপির ভালো ফলাফলের পথে কাঁটা ছিল একটাই - এখানকার সংগঠনের তীব্র অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং দুর্বল সংগঠন। ভোটের পরও তার কোনও সুরাহা হয়নি, প্রমাণ মিলল এদিনের অনুষ্ঠানে।