স্টাফ রিপোর্টার: লোকসভা ভোটের মতো কারও পছন্দের প্রার্থী নয়, দলের পুরনো কর্মী, সংগঠনের কাজে সক্রিয় এবং গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, তাদেরই উপনির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় অগ্রাধিকার দেওয়া হোক। এমনই দাবি উঠল বঙ্গ বিজেপিতে। চব্বিশের লোকসভা ভোটে ৩৪ জন প্রার্থীই ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পছন্দের। তাদের প্রায় সকলেই হেরেছেন। এবার চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে রাজ্য নেতৃত্ব ও জেলার নেতাদের সর্বসম্মতিতে প্রার্থী বাছাই করা হোক।
চব্বিশের লোকসভা ভোটের পুনরাবৃত্তি চাইছেন না গেরুয়া শিবিরের বড় অংশই। আর সেই মতো আলোচনার ভিত্তিতেই মানিকতলা-সহ বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ ও রায়গঞ্জ, এই চার বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ ও রায়গঞ্জে একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপি জিতেছিল। তাই এই তিন কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চাইছেন অনেকেই। বাগদায় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে আলোচনায় রয়েছে বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের স্ত্রী সোমা ঠাকুরের নাম। কিন্তু শান্তনুর স্ত্রীকে প্রার্থী করা নিয়ে জেলা বিজেপির মধ্যেই প্রবল আপত্তি রয়েছে। এছাড়া, বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বরের নাম রয়েছে। নাম এসেছে মতুয়া সম্প্রদায়ের বিনয় বিশ্বাস ও অমৃতলাল বিশ্বাসের।
[আরও পড়ুন: ‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’! পাকিস্তানে ১২ বছরের মেয়েকে বিয়ে করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ৭২-এর বৃদ্ধ]
দুলাল এগিয়ে রয়েছেন। রায়গঞ্জে প্রার্থী হিসাবে স্কুল শিক্ষক শংকর চট্টোপাধ্যায়ের নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও দাবিদার বিজেপির পুরনো কর্মী বাবুলাল বালা ও মানস ঘোষ। আবার রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে মতুয়া সম্প্রদায়ের মনোজ বিশ্বাসের নাম সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর মানিকতলা আসনে এগিয়ে ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক কল্যাণ চৌবের নাম। এর আগেও মানিকতলা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে তৃণমূলের কাছে হেরেছিলেন কল্যাণ। কল্যাণ বর্তমানে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি। আলোচনায় কল্যাণ এগিয়ে রয়েছেন। নাম এসেছে উত্তর কলকাতার পুরনো বিজেপি কর্মী অমিতাভ রায় ও শ্যাম জয়সোয়ালের। এছাড়া, গেরুয়া শিবিরের একাংশ তমোঘ্ন ঘোষ ও শিবাজী সিংহরায়কেও চাইছেন বলে খবর।