সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়ায় (Dantewada) মাওবাদী (Maoist) হামলায় ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্নে প্রশাসন। এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, গতমাসেই মাওবাদীরা নাকি একটি চিঠিতে হুমকি দিয়েছিল হামলার। এরপর থেকেই সিআরপিএফ ও স্থানীয় পুলিশকে গোয়েন্দা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, দান্তেওয়াড়া, সুকমা ও বিজাপুরে জওয়ানদের উপরে হামলা করতে পারে মাওবাদীরা। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, একথা জানার পরেও কেনও আরও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হল না? বিপজ্জনক পরিস্থিতিতেও কেন জওয়ানদের বুলেটপ্রুফ গাড়িতে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়নি? কেন আগে থেকে জওয়ানদের যাত্রাপথ জরিপ করে দেখা হয়নি? উঠছে এমনই নানা প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, একটি ভাড়াগাড়িতে করে যাচ্ছিলেন ১০ জওয়ান। মাওবাদী নিকেশের অভিযান সেরেই ফিরছিলেন তাঁরা। তবে তাঁদের গাড়িতে কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। আগে থেকেই সেই খবর ছিল মাওবাদীদের কাছে। সেই মতো পরিকল্পনা করে অন্তত ৫০ কেজি ওজনের বিস্ফোরকের ব্যবস্থা করে তারা। স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ১০গুণ বেশি শক্তিশালী ছিল এই আইইডি বিস্ফোরক।
[আরও পড়ুন: সুকন্যার গ্রেপ্তারির পরই ইডি দপ্তরে বান্ধবী, কাঁদতে কাঁদতে বললেন,’ওর পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই’]
আর এখানেই উঠে আসছে প্রশ্ন। সাধারণত কোনও কনভয় যাওয়ার আগে টহলদার বাহিনী রাস্তা একবার জরিপ করে নেয়। দেখে নেয় কোনও ঝুঁকি আছে কিনা। কিন্তু বুধবাসরীয় বিকেলে জওয়ানদের গাড়ি আসার আগে কেন বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। এখানেই উঠছে গাফিলতির প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, যেখানে আগে থেকেই হামলার হুমকি ছিল, সেখানেই কী করে এমন ঢিলেঢালা রইল নিরাপত্তা?
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রচণ্ড তীব্রতায় বিস্ফোরণ হয়েছে। এতটাই শক্তিশালী বিস্ফোরক ব্যবহার করেছে মাওবাদীরা, যে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১৫০ মিটার দূরে ছিটকে যায় জওয়ানদের গাড়ি। বিস্ফোরণের সময় গাড়িটি কুড়ি ফুট উঁচুতে উঠে মাটিতে ফের আছড়ে পড়ে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ১০ ফুট গভীর ও ২০ ফুট চওড়া একটি গর্ত হয়ে গিয়েছে। উপড়ে পড়েছে একটি বিশাল গাছই। এই ঘটনার পরেই ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরই টুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।