সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ৪ জুনের পর দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আরও তীব্র হবে অ্যাকশন। পুরুলিয়ার সভা থেকে হুঙ্কার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। বিজেপি তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে কোনও দুর্নীতিবাজ জেলের বাইরে থাকবে না বলেও জানিয়ে দিলেন তিনি।
পঞ্চম দফা ভোটের আগে রবিবার পুরুলিয়ার গ্যাংগারা এলাকায় সভা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর সমর্থনে প্রচার সারেন তিনি। সভার শুরু থেকে দুর্নীতি নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন মোদি। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে নোটের তাড়া উদ্ধার হয়েছে। মোদির খোঁচা, "কংগ্রেসের নেতাদের বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার হচ্ছে। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের বাড়িতেও নোটের পাহাড় উদ্ধার হচ্ছে। আমি তো জীবনে একসঙ্গে এত টাকা দেখিইনি।" এর পরই তাঁর অভিযোগ, "এরা নিজেরা দুর্নীতি করে হাতেনাতে ধরা পড়ছে আর মোদিকে দুষছে।"
[আরও পড়ুন: সুন্দরবনে গুলির লড়াই, চোরাশিকারীদের গুলিতে খুন বনকর্মী]
২০১৪, ২০১৯ সালের ভোটপ্রচারের উদাহরণও টেনে তোপ দাগেন মোদি। বলেন, "আমি তো দেশবাসীদের কাছ থেকে কিছুই লুকোই না। ২০১৪ সালে আমি বলেছিলাম, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করব। ২০১৯ সালেও বলেছিলাম এক-এক করে সব দুর্নীতিবাজদের পাকড়াও করব।" এর পরই তাঁর হুঁশিয়ারি, "চব্বিশে দাঁড়িয়ে বলছি, দুর্নীতিবাজদের জেলের বাইরে থাকতে দেব না। মোদি হিসেবে আরও একটা গ্যারান্টি দিচ্ছি, ৪ জুনের পর নতুন সরকার তৈরি হতেই এরকম সব দুর্নীতিবাজদের জীবন জেলেই কাটবে।" শেষে বাংলা ভাষায় তাঁর হুঙ্কার, "৪ জুনের পর দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আরও তীব্র হবে অ্যাকশন।" আর যে টাকা উদ্ধার হচ্ছে, তা আমজনতাকে ফেরানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মোদি জমানায় বিরোধী দলের বহু নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। লাগাতার তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। যা নিয়ে বিরোধীদের পালটা দাবি, ইডি-সিবিআইয়ের মতো সংস্থাগুলিকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি সরকার। অথচ বিজেপি নেতারা দুর্নীতি করলেও পার পেয়ে যাচ্চেন। অর্থাৎ শাসকদলে যোগ দিলেই সাত খুন মাফ হয়ে যাচ্ছে। তবে এসব অভিযোগ সত্ত্বেও আরও একবার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীকে।