শংকরকুমার, রায়গঞ্জ: লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের প্রকাশ্যে বিজেপির অন্তর্কলহ। গেরুয়া আর সবুজ ফ্লেক্সে রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা মুড়ে ফেলল বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। তাতে লেখা, “আগামী নির্বাচনে বহিরাগত প্রার্থী নয়, ভুমিপুত্র কিংবা ভুমিপুত্রীদের প্রার্থী করতে হবে।” যা নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। রায়গঞ্জের সাংসদ বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরীর মেয়াদ শেষ হতে চলছে। এই আবহে আসন্ন লোকসভায় রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে বালুরঘাটের বাসিন্দা দেবশ্রী চৌধুরীকে আর যেন দলের পক্ষ থেকে টিকিট না দেওয়া হয়, সেই দাবিতেই সোচ্চার দলের একাংশ। ইতিমধ্যে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে দেবশ্রী চৌধুরীর পরিবর্তে শোনা যাচ্ছে বালুরঘাটের বিধায়ক বিজেপির অশোক লাহিড়ী কিংবা শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষের নাম। এরই মাঝে ইসলামপুরের আলুয়াবাড়ি স্টেশনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নিজের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন, যা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি দলের একাংশ। সেই কারণেই আসরে নেমেছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: মালবাজারে চা বাগানের পাশে মিলল মৃত চিতাবাঘ, স্বজাতির হাতেই মৃত্যু?]
এ ব্যাপারে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, “তৃণমূলের মতো ব্যক্তিগত দল নয় বিজেপি। প্রার্থী হওয়া আমার ইচ্ছের উপর নির্ভর করে না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রার্থী চূড়ান্ত করবে।” তবে দেবশ্রীদেবীর অনুগামী বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “শুনছি, লোকসভায় কংগ্রেস-তৃণমূল জোট হতে যাচ্ছে। কিন্তু রায়গঞ্জে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি, তাই ভোটে হারার আগাম আঁচ করেই ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়াতে বিরোধীরাই হয়ত পোস্টার লাগিয়েছে, তবে খোঁজ নেব।” এদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “গতবারের জমি আর বিজেপির নেই রায়গঞ্জে সেটা বুঝেই আগাম বাজার গরমের জন্য এসব পোস্টার নিজেরাই লিখছে। তবে তাতে কাজ হবে না।” এদিকে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “ইন্ডিয়া জোটে বিজেপি ভয় পেয়েছে। তার জন্য নিজেদের জমি ধরতে নতুন নতুন কৌশল।”