শেখর চন্দ্র, আসানসোল: আইন, আদালত, থানা, পুলিশ, হাসপাতাল, কোনও সরকারি অফিসে মূক ও বধিরদের ভাষায় কথোপকথনের জন্য দোভাষীর অভাব। তাই নানা সময়ে সংযোগ ও সমন্বয়ের অভাবে সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। তাই তাঁদের দাবি, পৃথিবীর সর্বত্র চালু হোক সাইন ল্যাঙ্গোয়েজে (Sign Language) কথোপকথনের ব্যবস্থা। শনিবার, আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গোয়েজ দিবসেও কর্মসূচি বাতিল হয়ে গেল সমাজের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন প্রতিনিধিদের। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে জেলাশাসক (DM) নিজেই শেষ পর্যন্ত ছুটে যান তাঁদের কাছে।
কর্মক্ষেত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জায়গায় সাইন ল্যাঙ্গোয়েজে কথোপকথন চালু হোক, দোভাষী নিয়োগ করা হোক – এসব দাবি নিয়েই শনিবার পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের দপ্তরে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিলেন আসানসোলের (Asansol) মূক-বধিররা। এদিন ছিল আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গোয়েজ দিবসেও (International Sign Language Day)। কিন্তু এই দিনেও তাঁদের কর্মসূচিতে বাধা। আগে থেকে পুলিশের কাছে ও জেলাশাসকের অফিসে কর্মসূচির অনুমতি নেওয়া সত্ত্বেও স্মারকলিপি জমা দিতে পারলেন না প্রায় ২০০ জন মূক ও বধির।
[আরও পড়ুন: ‘ছাত্রমৃত্যুকে ঢাল করে চক্রান্ত চলছে, নেপথ্যে বড় মাথা,’ বিস্ফোরক দাবি উপাচার্য বুদ্ধদেবের]
কিন্তু কেন বাধা পড়ল তাঁদের আজকের কর্মসূচিতে? জানা যাচ্ছে, এখানেও তাঁদের সংযোগ ও সমন্বয়ের অভাবেই সমস্যা দেখা দিয়েছে। সাইন ল্যাঙ্গোয়েজ বুঝিয়ে দেওয়ার লোক অর্থাৎ দোভাষীর অভাব। তাই মূক-বধিরদের (Deaf and Dumb) কর্মসূচি ঠিকমতো জেলাশাসকের কাছে পৌঁছয়নি। চতুর্থ শনিবার জেলাশাসকের দপ্তর বন্ধ ছিল। তাই স্মারকলিপি দেওয়া যায়নি। তবে দীর্ঘ সময় পর পুলিশের সাহায্য নিয়ে মিছিল করতে পারেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় বসে আয়ারল্যান্ডের মহিলার সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩]
অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে জটিলতার খবর পেয়ে জেলাশাসক এস পুণ্যবালাম ছুটে আসেন রবীন্দ্র ভবনে। তিনি দোভাষীর (Interpretor) সাহায্য নিয়ে ওই মূক-বধিরদের জানান, ডেপুটেশনের কর্মসূচির আবেদন তার কাছে পৌঁছয়নি। সোমবার ফের তাঁদের ডাকা হয়েছে জেলাশাসকের দপ্তরে। মূক ও বধিরদের অভিযোগ, সংযোগ ও সমন্বয়ের অভাবে এই সমস্যা হয়েছে, যেমনটা হয় সারাবছর সর্বত্র। তবে তাঁরা আশাবাদী, সাইন ল্যাঙ্গোয়েজ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়লে এই সমস্যা কেটে যাবে আগামী দিনে।