shono
Advertisement

বিরিয়ানি-চাপের চেয়েও বেশি আকর্ষণীয় মেসি-এমবাপের লড়াই! বিয়েবাড়িতে ব্রাত্য ভোজপর্ব

বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখার সঙ্গী হয়েছে বিয়বাড়ির স্টার্টার।
Posted: 12:32 PM Dec 20, 2022Updated: 12:33 PM Dec 20, 2022

স্টাফ রিপোর্টার: থরে থরে সাজানো লাচ্ছা পরোটা, কাশ্মিরী আলুর দম, মাটন বিরিয়ানি, চিকেন চাপ। সেদিকে এগোচ্ছে না কেউই। চেয়ার টেবিল যেমন-কে তেমন পাতা। খেতে বসে বিশ্বকাপ (World Cup) দেখা বিড়ম্বনা। মাংসের হাড় চিবোবে না খেলা দেখবে! তার চেয়ে টেবিলে মোবাইল রেখে বোনলেস পকোড়া খেতে খেতে খেলা দেখা ঢের সুবিধাজনক। রবি সন্ধ‌্যায় সিংহভাগ বউভাতে তাই খেতে বসতে মাঝরাত হয়ে গেছে কনেযাত্রীর। টান পড়েছে স্টার্টারে।

Advertisement

পাটুলির ঘোষ ক‌্যাটারারের কর্ণধার সুহৃদ ঘোষ জানিয়েছেন, অন‌্যান‌্য সময় তড়িঘড়ি মেন কোর্স খেয়ে পাততাড়ি গোটান কনেযাত্রীরা। রবিবার ছিলো উল্টোছবি। সবাই খেতে বসেছেন সাড়ে এগারোটা, পৌনে বারোটায়। তার আগে চিকেন পকোড়ার সঙ্গে মোবাইলে খেলা গিলেছেন গ্রোগ্রাসে। মেন কোর্স শেষ করতে করতে রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফুটে গিয়েছে। এ ছিল যে সমস্ত নেমন্তন্ন বাড়িতে খেলা দেখার আয়োজন হয়নি সেখানকার ছবি।

আর যেখানে টাঙানো হয়েছিল জায়ান্ট স্ক্রিন? আকস্মিক তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে বউভাতের অনুষ্ঠান। পাত্রীর বাবার চিৎকারে চমকে গিয়েছেন অতিথি-অভ‌্যাগতরা। বর বাবাজি যে দু হাত তুলে লাফাচ্ছেন। বিষয়টা বোধগম‌্য হয়েছে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই। সামনের স্ক্রিনে দৌড়চ্ছেন মেসি। পেনাল্টিতে গোল করেছেন কয়েক সেকেন্ড আগেই। রবি-সন্ধ‌্যায় একাধিক বিয়ের মণ্ডপ ছিল ফুটবল মুখরিত। একে ফুটবলের মক্কা কলকাতা। তায় ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার সামনে বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ। কলকাতার একাধিক অনুষ্ঠান বাড়িতে টাঙানো হয়েছিল জায়ান্ট স্ক্রিন।

[আরও পড়ুন: ‘ওই দরজা দিয়ে নবকুমারকে নিয়ে পালিয়েছিল কপালকুণ্ডলা’, কুণালকে দেখালেন বর্ষীয়ান গ্রামবাসী]

দক্ষিণের গড়িয়া, গড়িয়াহাট থেকে উত্তরের শ‌্যামবাজার, কিংবা আরও উত্তরের কামারহাটিতেও একাধিক নেমন্তন্ন বাড়িতে দেখা গিয়েছে পর্দা টাঙিয়ে ফাইনাল দেখার ছবি। সিংহভাগ বিয়েবাড়িতেই বন্দোবস্ত ছিল ফুটবল ফাইনাল দেখার। এমনই এক বিয়েবাড়িতে বর-বউকে দেখা গিয়েছে মণ্ডপ ছেড়ে স্ক্রিনের সামনে ইষ্টনাম জপ করতে। তখন দু’পক্ষের খেলা দুই-দুই। কে জেতে কে হারে অবস্থা। মেসি (Lionel Messi) তিন নম্বর গোল দিতেই শুরু হয়ে যায় নাচানাচি। যে সমস্ত বিয়েবাড়িতে খেলা দেখানোর বন্দোবস্ত ছিল না তেমন জায়গায় নষ্ট হয়েছে খাবার দাবার। নিমন্ত্রিতর যা সংখ‌্যা ধরা ছিল তার চেয়ে কিঞ্চিৎ কমই এসেছিলেন। পাত্রপক্ষ জানিয়েছেন, তারিখ পাকা করার সময় জানতাম না এদিন বিশ্বকাপের ফাইনাল পড়বে। শেষ মুহূর্তে তারিখ বদলানো সম্ভব ছিল না।

[আরও পড়ুন: নিরুদ্দেশ স্বামীকে ফেরানোর নামে বাড়িতে ডেকে গণধর্ষণ! ‘সাধু’র কাণ্ডে অপমানে আত্মঘাতী বধূ

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement