সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “মনে রাখা উচিত, আমরা আইপিএল খেলছি। ক্লাব ক্রিকেট নয়। ম্যাচের শেষ বলে জঘন্য একটা সিদ্ধান্ত কপালে জুটল। আম্পায়ারদের চোখ খুলে রাখা উচিত। মালিঙ্গার পা এক ইঞ্চি বাইরে ছিল। পরিষ্কার নো বল। আইপিএলকে লোকে বলে, গেম অব মার্জিনস। সূক্ষ্ম ভুলভ্রান্তিতেও সব ওলটপালট হয়ে যায়। এটা তাহলে কী হচ্ছে, জানি না। আম্পায়ারদের আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিত।” বক্তা বিরাট কোহলি। ঘরের মাঠে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হারের পর মালিঙ্গার নো-বল নিয়ে এখানেই বিষোদ্বগার করলেন আরসিবি নেতা।
বৃহস্পতিবার চিন্নাস্বামীতে ম্যাচের শেষ বলে আরসিবি-র জিততে দরকার ছিল ৭ রান। ব্যাটসম্যান শিবম দুবে ওভার বাউন্ডারি মারলে ম্যাচ সুপার ওভারে যেত। এই পরিস্থিতিতে মালিঙ্গার শেষ ডেলিভারি বোলারের ‘ফ্রন্ট ফুট ব্রেকিং রুল’-এ ‘নো’ বল হয়। টিভিতে যা পরিষ্কার ধরা পড়লেও আম্পায়ার সুন্দরম রবির (তখন লেগ আম্পায়ার ছিলেন নন্দন) চোখ এড়িয়ে যায়। প্রযুক্তির সাহায্যও নেননি তিনি। ‘নো’ বল হলে তার জন্য ১ রান পেত আরসিবি। এবং একইসঙ্গে পরের বল-এ ‘ফ্রি হিট’ যেত কোহলির দলের ঝুলিতে। জেতার জন্য সেই ফ্রি-হিট ডেলিভারিতে তখন ৬ রান দরকার হত বেঙ্গালুরুর। যেহেতু ফ্রি-হিটে রান আউট ছাড়া আর কোনও আউট সম্ভব নয়, তাই ব্যাটসম্যান সমস্ত ঝুঁকি নিয়ে ওভার বাউন্ডারি মেরে দলকে জেতানোর চেষ্টা করতেই পারতেন। কিন্তু তেমনটা হল না শুধু আম্পায়ারের সচেতনতার অভাবে। ম্যাচের পর তাই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কোহলি। এতো উন্নত প্রযুক্তির যুগে আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে এমন মারাত্মক ভুল নিয়ে সরব প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও।
[আরও পড়ুন: পঞ্চমবার বাবা হচ্ছেন রোনাল্ডো! জোর জল্পনা ফুটবল মহলে]
সঞ্জয় মঞ্জরেকর টুইট করেন, “দুর্ধর্ষ ক্রিকেট দেখলাম। বিরাট, এবি, মালিঙ্গা, যুবরাজ, হার্দিক, চাহাল, বুমরা প্রত্যেকে ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ওই নো বল বিতর্ক সব শেষ করে দিল। ক্ষমাহীন ভুল।” একই সুর আকাশ চোপড়ার গলাতেও। টুইটারে তিনি লেখেন, “মালিঙ্গার নো বলটা না ডাকা আম্পায়ারের বিশাল ভুল। ওটা বিরাট নো বল ছিল। এত বড় ভুল আম্পায়ার কী ভাবে করল, বুঝতে পারছি না। অবিশ্বাস্য লাগছে।” কেভিন পিটারসেন থেকে ফাফ ডুপ্লেসি, প্রত্যেকেই বলছেন, উন্নত প্রযুক্তির যুগে এমন ভুল মেনে নেওয়া যায় না। আর রোহিত শর্মা? দলকে টানা দুটি ম্যাচ জিতিয়ে নো-বল নিয়ে তাঁর কী প্রতিক্রিয়া?
মুম্বই অধিনায়ক অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন ওটা যে নো-বল ছিল, তিনি জানতেনই না। বলছেন, “সত্যি বলছি, মাঠ ছাড়ার পর জানতে পারি ম্যাচের শেষ ডেলিভারিটা নো বল ছিল। ক্রিকেটের জন্য এ ধরনের ভুলভ্রান্তি একেবারেই ভাল নয়। বুমরাহর একটা বল যেমন ওয়াইড ডেকে দিলেন আম্পায়ার। অথচ বলটা কোনও ভাবে ওয়াইড ছিল না। তবে এটুকু বলতে পারি, ১৮০ লড়ার মতো স্কোর ছিল। একেবারে নিশ্চিন্ত হওয়ার মতো স্কোর, বলব না। কিন্তু আমাদের সেই বোলার ছিল যারা কাজটা শেষ করে আসতে পারত। বিরাট আর এবির পার্টনারশিপ চলছিল যখন, তখনও আমরা ঘাবড়াইনি।”
[আরও পড়ুন: এ কেমন খাওয়া! নেটদুনিয়ায় ট্রোলড মুথাইয়া মুরলীধরন]
The post নো-বল বিতর্কে ক্ষোভ উগরে দিলেন কোহলি, সরব প্রাক্তন তারকারাও appeared first on Sangbad Pratidin.