সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি (T-20) ক্রিকেট নিয়ে বেশি নাড়াচাড়া করার প্রয়োজন তিনি দেখেন না। তবে সুনীল মনোহর গাভাসকরের (Sunil Gavaskar) মতে, ওভার পিছু অন্তত দু’টো করে বাউন্সার চালু করা উচিত। টি-টোয়েন্টিকে প্রভূত ভাবে ব্যাটসম্যানস গেমই বলা হয়ে থাকে। তাই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটে কিছুটা ব্যালান্স ফেরানোর জন্য ওভার পিছু এই দু’টো বাউন্সারের নিয়ম চালু করার পক্ষে গাভাসকর।
[আরও পড়ুন: সল্টলেক স্টেডিয়াম মেট্রো স্টেশনের সঙ্গে জুড়ল IFA’র নাম, জানেন কীভাবে?]
ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে বলে দেন, “টি-টোয়েন্টি যে দারুণ করছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আমার মতে, খুব বেশি বদলের প্রয়োজন নেই। কিন্তু এটা ঠিক যে, ফর্ম্যাটটা প্রবল ভাবে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে। তাই আমার মতে, ফাস্ট বোলারদের ওভার পিছু দু’টো বাউন্সার দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। বাউন্ডারিটাও আরও বাড়ানো যেতে পারে।” শুধু তাই নয়, বোলারদের সুবিধে দিতে আরও একটা পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের ‘লিটল মাস্টার’। বলে দিয়েছেন, “আরও একটা জিনিস করা যেতে পারে। প্রথম তিন ওভারে যদি কোনও বোলার উইকেট নেয়, তাকে বাড়তি একটা ওভার দেওয়া যেতে পারে।”
পাশাপাশি ‘মানকাডিং’ নিয়েও (যে শব্দটা নিয়ে প্রবল আপত্তি আছে গাভাসকরের। তাঁর মতে, বিনু মানকডকে অপমান না করে উচিত ‘ব্রাউন’ বলা। কারণ দোষটা ছিল বিল ব্রাউনের, বিনু মানকাডের নয়) বলেছেন গাভাসকর। তাঁর মতে, বোলারের ডেলিভারির আগেই নন স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে ব্যাটসম্যান আগেভাগে অনেকটা বেরিয়ে যাচ্ছেন কি না, সেটা টিভি আম্পায়ারের দেখা উচিত। “বোলার নো বল করছে কি না, সেটা তো দেখছে টিভি আম্পায়ার। তা হলে টিভি আম্পায়ার নিশ্চয়ই এটাও দেখতে পারবে, বোলারের বল রিলিজের আগে নন স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে ব্যাটসম্যানও ক্রিজ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে কি না। সেটা হলে, ওয়ান শর্ট নিয়ম চালু করো। সেই বলে বাউন্ডারি মারলে একটা রান কেটে নাও।”