সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিমারীর জেরে স্থগিত হয়ে গিয়েছে আইপিএলে। প্রত্যেক ক্রিকেটারকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বিসিসিআইয়ের (BCCI)। কিন্তু সে ষোলো কলা পূর্ণ হল না। দেশে ফেরার আগেই করোনা থাবা বসাল কেকেআর (KKR) তারকা টিম সেইফার্টের শরীরে। দুপুরে আবার কিং খানের দলের তরফে জানানো হয়, আক্রান্ত প্রসিদ্ধ কৃষ্ণও। যাঁকে আবার আসন্ন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও স্ট্যান্ড বাই হিসেবে রাখা হয়েছে।
আইপিএল (IPL 2021) চলাকালীনই কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন কেকেআরের দুই তারকা বরুণ চক্রবর্তী ও সন্দীপ ওয়ারিয়র। যার জেরে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল আরসিবির (RCB) বিরুদ্ধে নাইটদের ম্যাচটি। তারপরই পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। মারণ ভাইরাস থাবা বসায় চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরেও। পরে হায়দরাবাদ দলের ঋদ্ধিমান সাহা সংক্রমিত হওয়ার পরই টুর্নামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় বোর্ড। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ক্রিকেটারদের সুরক্ষার কথা ভেবেই টুর্নামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত। এরপরই আশ্বস্ত করেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব বোর্ডের। কিন্তু বাড়ি ফেরার আগেই সংক্রমণ ঢুকে পড়ল নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান সেইফার্টের শরীরে। ফলে বাড়ি যাওয়ার বিমানে এখনই উঠতে পারছেন না তিনি। এদিকে, কৃষ্ণর শরীরে হালকা উপসর্গ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: কোভিড যুদ্ধে শামিল কলকাতার ফুটবল ক্লাবগুলি, বিনামূল্যে করা হল টিকাকরণের ব্যবস্থা]
সেইফার্টকে (Tim Seifert) আপাতত কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের তরফে এনিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়েছে, “কেকেআর ব্যাটসম্যান সেইফার্টের দেশে ফেরার আগে করোনা (Corona Virus) পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু দু’বারই PCR টেস্টে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁর শরীরে সামান্য উপসর্গ রয়েছে। আপাতত কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” একইসঙ্গে সবরকমভাবে সেইফার্টের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছে কিউয়ি বোর্ড।
তবে ভারতের মাটিতে করোনা হওয়ায় বেশ চাপেই পড়ে গেলেন সেইফার্ট। কারণ ভারতের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডে ফিরেও ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাঁকে। সেইফার্ট ও কৃষ্ণকে নিয়ে আইপিএলে মোট ছয় ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। যাঁদের মধ্যে চারজনই কেকেআরের। এছাড়া হায়দরাবাদের ঋদ্ধিমান এবং দিল্লির অমিত মিশ্রও সংক্রমিত হয়েছিলেন।