shono
Advertisement

Breaking News

শাহবাজের দুরন্ত বোলিংয়ে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ওয়ার্নারদের হারাল বিরাটের আরসিবি

দু'ওভারে মাত্র সাত রান দিয়ে তিন উইকেট নেন শাহবাজ।
Posted: 11:16 PM Apr 14, 2021Updated: 11:20 PM Apr 14, 2021

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ২০ ওভারে ১৪৯/৮ (ম্যাক্সওয়েল ৫৯, কোহলি ৩৩, হোল্ডার ৩/৩০)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ২০ ওভারে ১৪৩/৯ (ওয়ার্নার ৫৪, পাণ্ডে ৩৮, শাহবাজ ৩/৭ )
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ৬ রানে জয়ী।

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ের ধারা বজায় রাখলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ব্যাটে তেমন পারফর্ম না করলেও বোলিংই এদিন হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আরসিবিকে দুরন্ত জয় এনে দিল। বলতে গেলে একেবারে হারা ম্যাচ ৬ রানে জিতল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ১৫০ রান তাড়া করতে নেমে ১৪৩ রানে থামল হায়দরাবাদের ইনিংস। কাজে এল না ডেভিড ওয়ার্নারের অর্ধ-শতরান কিংবা মনীশ পাণ্ডের দুরন্ত ইনিংস। উলটে এক ওভারে বেয়ারস্টো এবং পাণ্ডেকে আউট করে কার্যত ‘হিরো’ হয়ে গেলেন শাহবাজ আহমেদ। দু’ওভারে মাত্র সাত রান দিয়ে তিন উইকেট পান তিনি।

এদিন প্রথমে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। আরসিবির হয়ে বিরাটের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন দেবদূত পাড়িক্কল। তবে মাত্র ১১ রান করেই ফিরে যান বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। এরপর ১৪ রান করে ফিরে যান শাহবাজ আহমেদও। তবে তৃতীয় উইকেটে বিরাট-ম্যাক্সওয়েল জুটি দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। তবে ব্যক্তিগত ৩৩ রানের মাথায় আউট হয়ে ফিরে যান বিরাটও। পরের ওভারেই আউট হয়ে যান এবি ডি’ভিলিয়ার্স (১)। এরপর ম্যাক্সওয়েল ছাড়া আরসিবির আর কোনও ব্যাটসম্যানই তেমন দাগ কাটতে পারেননি। দুরন্ত অর্ধ-শতরান করে দলের রান ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে যান এই অজি ব্যাটসম্যানই। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে করেন ৪১ বলে ৫৯ রান। যা সাজানো ছিল পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়ে। মূলত তাঁর ব্যাটে ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভারে আরসিবির রান দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৪৯ রান।

[আরও পড়ুন: রোহিতকে ‘অপমান’! ক্ষমা চাইতে হবে Swiggy-কে, অ্যাপ বয়কটের ডাক নেটিজেনদের]

স্কোরবোর্ডে লক্ষ্যমাত্রা ছিল মাত্র ১৫০ রান। ফলে শুরুতেই তাই ঋদ্ধিমান সাহার (১) উইকেট হারালেও কখনওই চাপে পড়েনি হায়দরাবাদ। অধিনায়ক ওয়ার্নার এবং মনীশ পাণ্ডের ইনিংসের হাল ধরেন। দু’জনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৮৩ রানও যোগ করেন। যদিও ৩৭ বলে ৫৪ রান করে আউট হন ওয়ার্নার। কিন্তু উলটোদিকে মনীশ পাণ্ডে নিজস্ব ভঙ্গিতেই রান তাড়া করতে থাকেন। সবাই যখন ধরে নিয়েছে হায়দরাবাদ সহজেই ম্যাচ জিতে যাবে, তখনই ম্যাচে ফেরেন বিরাটরা। ব্যাট হাতে রান না পেলেও ১৭ তম ওভারে পরপর দু’বলে বেয়ারস্টো (১২) এবং মনীশ পাণ্ডেকে (৩৮) আউট করেন শাহবাজ আহমেদ। এরপরই চাপে পড়ে যায় নিজামের শহরের দল। রান তোলার গতি বাড়াতে গিয়ে দ্রুত আউট হয়ে যান আবদুল সামাদ (০) এবং বিজয় শংকর (৩)। ৪ রান করে আউট হয়ে যান জেসন হোল্ডারও। বলতে গেলে ওই সময় মাত্র ১৫ রানের মধ্যে পাঁচটি উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। শেষদিকে, রশিদ খান কিছুটা চেষ্টা করলেও সেটা যথেষ্ট ছিল না। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৩ রানই করতে সক্ষম হন ওয়ার্নাররা।

 

এদিন আবার দিনের শুরুতেই ওয়ানডেতে ব্যাটসম্যানদের ক্রমতালিকায় পাকিস্তানের বাবর আজমের কাছে এক নম্বর আসনটি খোয়ান বিরাট। এখানেই শেষ নয়, ম্যাচে আউট হওয়ার পর বিরক্তি প্রকাশ করে ডাগআউটে রাখা চেয়ার ফেলে দিয়ে বিতর্কেও জড়ালেন। শেষপর্যন্ত অবশ্য রুদ্ধশ্বাস জয় দিয়েই দিন শেষ করলেন বিরাট কোহলি।

[আরও পড়ুন: ১,২৫৮ দিন পর সিংহাসনচ্যুত কোহলি, ওয়ানডে ব়্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে এই পাক ব্যাটসম্যান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement