সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার বিরাট কোহলির (Virat Kohli) আরসিবির (RCB) বিরুদ্ধে খেলতে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। প্লে-অফের আগেই নাইট শিবির ছাড়তে পারেন শাকিব আল হাসান (Shakib Al-Hasan)। অর্থাৎ টুর্নামেন্টের অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের অলরাউন্ডারকে পাবে না কলকাতা।
কিন্তু কেন নাইট শিবির থেকে বেরিয়ে যাবেন শাকিব? একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, আসলে শাকিব আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য জাতীয় দলের শিবিরে যোগ দেবেন। কারণ বাংলাদেশ সরাসরি বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করেনি। তাদের কোয়ালিফায়ারে খেলতে হবে। আর তাই নাইট শিবিরের বায়ো-বাবল থেকে বেরিয়ে যাবেন শাকিব আল হাসান। সূত্রের খবর, আইপিএলের বায়ো-বাবল থেকে জাতীয় দলের শিবিরে যোগ দেবেন তিনি। তবে সেখানে তাঁকে একদিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তারপরই সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনে নামবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘শতাব্দীর সেরা বল’! অজিদের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য ইনসুইং করে শিরোনামে ভারতীয় মহিলা পেসার]
তবে সোমবার প্লে অফ যুদ্ধে বিরাট কোহলির আরসিবির বিরুদ্ধে নামার আগে কেকেআরকে কিছুটা স্বস্তি দেবে আন্দ্রে রাসেলের ফিট হয়ে যাওয়া। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে চোট পেয়ে বেশ কয়েকটা ম্যাচে খেলতে পারেননি রাসেল। তবে শনিবার পর্যন্ত যা খবর, তাতে সোমবার রাসেল ফিরছেন। আর ফিরছেন পুরো ফিট হয়েই। এতদিন রাসেল শুধু নেটে ব্যাটিং করছিলেন। শনিবার বোলিংও করলেন। বোলিং করলেন একেবারে পুরো ছন্দে। আর রাসেলের থাকা মানে টিমের আত্মবিশ্বাস যে আরও অনেক বেড়ে যাবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এমনিতে রাসেল ছাড়াই টিম দারুণ খেলছিল। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের দলে অন্তর্ভুক্তি কেকেআরের শক্তি আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে দেবে সেটা বলে দেওয়াই যায়। ভেঙ্কটেশ আইয়ার থেকে শুরু করে শুভমান গিল, প্রত্যেকে প্লে অফ নিয়ে রীতিমতো ফুটছেন। তার উপর আবার গত ম্যাচে লকি ফার্গুসন রীতিমতো আগুনে বোলিং করেছেন। সঙ্গে শিবম মাভি। সুনীল নারিনকে সেই পুরনো মেজাজে পাওয়া যাচ্ছে। শারজায় যা উইকেট তাতে নারিন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। সঙ্গে বরুণ চক্রবর্তী তো আছেনই। সবমিলিয়ে বিরাট-যুদ্ধের আগে রীতিমতো তৈরি নাইট শিবির। তবে একইরকম সতর্কও ইয়ন মর্গ্যানের টিম। যতই হোক এটা প্লে অফের যুদ্ধ। গ্রুপ লিগে এক-আধটা ম্যাচ খারাপ খেললে তবু ফিরে আসার সুযোগ থাকে। কিন্তু এখানে সেই সুযোগ আর পাবেন না মর্গ্যানরা। তছাড়া আরসিবিও খুব ভাল ছন্দে রয়েছে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে শেষ বলে যেভাবে জিতেছে, সেটা বিরাটদের মনোবল আরও বাড়িয়ে দেবে। ক্যাপ্টেন কোহলি তা দিল্লি ম্যাচের পর বলেও দিয়েছেন।