মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৩৯-৮ (নেহাল ৬৪, সূর্য ২৬)
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৪০-৪ (কনওয়ে ৪৪, গায়কোয়াড় ৩০)
চেন্নাই সুপার কিংস ৬ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রিকেটে ভাল ফল করে সেই দলই যাঁদের অধিনায়ক সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। সেই অধিনায়কই যদি নিজে বিশ্রী ফর্মে থাকেন, নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে নামেন, তাহলে তার প্রভাব দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়বেই। সেটাই হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) সঙ্গে। অধিনায়ক রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) বিশ্রী ফর্ম আর ভুল অধিনায়কত্বের শিকার হতে হল মুম্বইকে। ধোনির সিএসকের সামনে কার্যত ধরাশায়ী হয়ে গেলেন মুম্বইকররা।
প্লে-অফের লড়াইয়ে শনিবারের ম্যাচ দু’দলের জন্যই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। চিপকে গিয়ে চেন্নাইকে (CSK) হারানো ভীষণ কঠিন। সম্ভবত সেটা ম্যাচের আগেই মুম্বই অধিনায়ক রোহিতের মাথায় ঢুকে গিয়েছিল। সেটাই মনে হল তাঁর দলের ব্যাটিং লাইন-আপ দেখে। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে হবে জেনে রোহিত নিজে ওপেন করতে এলেন না। কারণ, এক তাঁর খারাপ ফর্ম। আর দুই, দীপক চাহারের (Deepak Chahar) সুইংয়ের সামনে সেভাবে প্রতিরোধ গড়তে না পারা। অধিনায়ক রোহিতের এই ‘ভয়’ কাজ করল গোটা দলের মধ্যেও।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের ট্রেনে নিরাপত্তারক্ষীর দেখা নেই, চোরকে চাদরে বেঁধে শিয়ালদহে আনল যাত্রীরা!]
অধিনায়কের জায়গায় ওপেন করতে আসা গ্রিন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সত্ত্বেও এদিন ব্যর্থ হলেন। আর রোহিত নিজে যে চাহারের জুজু দেখছিলেন, সেই চাহারেরই শিকার হলেন। তাও শূন্য রানে। আইপিএলে এটা ভারত অধিনায়কের ষোলতম শূন্য। আর কোনও ব্যাটার এই মেগা টুর্নামেন্টে এতবার শূন্য করেননি। রোহিত, গ্রিনের পাশাপাশি নিজের উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এলেন ঈশান কিষানও (Ishan Kishan)। মুম্বই খানিকটা প্রতিরোধ গড়েছিল সূর্যকুমার যাদব এবং নেহাল ওয়াধেরার হাত ধরে। কিন্তু সূর্যও আউট হলেন ২৬ রান করেন। এদিন প্রথমবার সুযোগ পাওয়া স্টাবস করলেন ২১ বলে মাত্র ২০ রান। তরুণ নেহাল ৫১ বলে ৬৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটা না খেললে হয়তো ১৩৯ রানের সম্মানজনক স্কোরেও পৌঁছাতে পারত না মুম্বই।
[আরও পড়ুন: ছিটকে যাওয়া লোকেশ রাহুলের পরিবর্তে লখনউ নিল টেস্ট ক্রিকেটারকে, কে তিনি?]
ঘরের মাঠে ১৪০ রান চেন্নাইয়ের জন্য জলভাতের মতোই ছিল। প্রত্যাশিতভাবে হেসে-খেলেই টার্গেটে পৌঁছে গেলেন সিএসকে ব্যাটাররা। দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড় শুরুটাই এত ভাল করলেন যে রোহিতদের ম্যাচে কামব্যাক করার তেমন সুযোগই রইল না। কনওয়ে ৪৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন। গায়কোয়াড় করলেন ৩০ রান, রাহানে, দুবেরা নিজেদের মতো করে পারফর্ম করলেন। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেল চেন্নাই। এই জয়ের ফলে প্লে-অফের লড়াইয়ে অনেকটা এগিয়ে গেল মাহি-ব্রিগেড। ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চেন্নাই।