সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিরাট কোহলির তিক্ততা কি এখনও মেটেনি? এক-দেড় বছর আগে কোহলির অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে যে মুষলপর্ব শুরু হয়েছিল, তার রেশ কি এখনও রয়ে গিয়েছে? এখনও কি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিরাট কোহলির সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়নি? শনিবার দিল্লি ক্যাপিটালস এবং আরসিবি (RCB) ম্যাচের পর ফের সেই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠল।
শনিবার বেঙ্গালুরুতে দিল্লিকে ২৩ রানে হারানোর পর সৌরভ গঙ্গপাধ্যায়ের সঙ্গে করমর্দন পর্যন্ত করতে চাইলেন না প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সৌরভ এই মুহূর্তে দিল্লি ক্যাপিটালসের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট। তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজির সময়টা ভাল যাচ্ছে না। ৫ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিই হেরেছে দিল্লি। শনিবার বিরাটদের বিরুদ্ধে হারের পরও তিনি বিপক্ষের ক্রিকেটারদের শুভেচ্ছা জানাতে যান। আরসিবি অধিনায়ক ফ্যাফ ডু’প্লেসিসের সঙ্গে হাত মেলাতেও দেখা যায় সৌরভকে (Sourav Ganguly)। কিন্তু ফ্যাফের পরই লাইনে ছিলেন বিরাট। ভাইরাল ভিডিও’য় দেখা গিয়েছে, সৌরভ বা বিরাট কেউই কারও দিকে হাত মেলাতে এগিয়ে যাননি। সৌরভ বাকি সকলের সঙ্গে হাত মেলালেও বিরাটের হাতে হাত ছোঁয়াননি। যদিও ব্যাপারটি ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত সেটা স্পষ্ট নয়। আবার সৌরভ ন বিরাট কে কাকে উপেক্ষা করলেন সেটাও অস্পষ্ট।
[আরও পড়ুন: নিজেকেই ধ্বংস করছিল শরীর! কিশোরীকে বাঁচালেন বাঙুরের চিকিৎসক]
যদিও নেটিজেনরা বলতে শুরু করেছেন, পুরনো তিক্ততার জেরেই একে অপরকে এড়িয়ে গিয়েছেন দুই মহাতারকা। যে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল বছর দেড়েক আগে, কোহলির (Virat Kohli) ওয়ানডে অধিনায়কত্ব চলে যাওয়া নিয়ে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর কোহলি বলেছিলেন যে, তিনি ওয়ানডে ক্যাপ্টেন্সি চালিয়ে যেতে চান। কিন্তু বোর্ড তাঁকে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলে দেন, বিরাটকে বারণ করা হয়েছিল টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়তে। কিন্তু তিনি শোনেননি। যার পর নির্বাচকদের মনে হয়েছে, সাদা বলের ক্রিকেটে দু’জন অধিনায়ককে নিয়ে চলা সম্ভব নয়।
[আরও পড়ুন: ‘মদমুক্ত’ বিহারে ফের বিষমদে মৃত্যুমিছিল, মৃত ১৬, আশঙ্কাজনক ৪৮]
কিন্তু পরে কোহলি সাংবাদিক ব্বইথক বলে দেন, বোর্ড একবারও তাঁকে বলেনি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব না ছাড়তে। শুধু তাই নয়, তাঁর ওয়ানডে অধিনায়কত্ব যে যাচ্ছে, সেটাও নাকি জানানো হয় দল নির্বাচনের দিন মাত্র ঘণ্টা দেড়েক আগে। প্রকারান্তরে তৎকালীন বোর্ড (BCCI) প্রেসিডেন্টকে ‘মিথ্যেবাদী ‘বলে দেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। সে নিয়ে বোর্ডের অন্দরে মুষলপর্ব শুরু হয়ে যায়। তারপর যদিও একাধিকবার সৌরভ বিরাটের প্রশংসা করেছেন। তবে বিরাটের তরফে সেই সৌজন্য দেখা যায়নি। শনিবারও সেটা দেখা গেল না।