গুজরাট: ১৩৫-৬ (হার্দিক ৬৬, ঋদ্ধিমান ৪৭)
লখনউ: ১২৮-৭ (রাহুল ৬৮, মেয়ার্স ২৪)
গুজরাট ৭ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অধিনায়ক দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ জেতাচ্ছেন, নিদেনপক্ষে ম্যাচ শেষ করার সৎ চেষ্টা অন্তত করছেন, সেই ছবি খেলার মাঠে আকছার দেখা যায়। কিন্তু শনিবার গুজরাটের (Gujarat Titans) বিরুদ্ধে কেএল রাহুল যেটা করলেন, সেটা ঠিক তার উলটো। কার্যত একাই দায়িত্ব নিয়ে নিজের দলকে হারিয়ে দিলেন তিনি। ১৩৬ রান তাড়া করতে গিয়ে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলেও ম্যাচ জেতালেন না। শেষে স্নায়ুর চাপ ধরে রেখে গুজরাট জিতল ৭ উইকেটে।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক (Hardik Pandya)। কিন্তু লখনউয়ের স্লো পিচে বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ২০ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেটে মাত্র ১৩৫ রান তোলে গুজরাট। অধিনায়ক হার্দিক করেন ৬৬ রান। উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহাও (Wriddhiman Saha) ৩৭ বলে ৪৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। তাছাড়া আর কোনও ব্যাটার সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি। ফলস্বরূপ রানের গতি তেমন বাড়েনি।
[আরও পড়ুন: শচীনের ব্যাট নিয়েও খেলেছি: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়]
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল লখনউ। পাওয়ার-প্লে চলাকালীনই ৫০ রান পেরিয়ে যায় তারা। কিন্তু কাইল মেয়ার্স আউট হয়ে যাওয়ার পরই কমতে থাকে রানের গতি। গুজরাটকে ম্যাচে ফেরান নূর মহম্মদ, জয়ন্ত যাদব, রশিদ খানরা। মাঝের ওভারগুলিতে সেভাবে রানই ওঠেনি। সেজন্য অনেকটা দায়ী অধিনায়ক কে এল রাহুল (KL Rahul) এবং ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার স্লো ইনিংস। রাহুল ৬১ বলে ৬৮ রান করলেন। শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করলেন তিনি অথচ ম্যাচ শেষ করে যেতে পারলেন না। যার ফলে চাপ পড়ে গেল অন্য ব্যাটারদের উপর। ২৩ বলে ২৩ রানের স্লো ইনিংস খেললেন ক্রুণালও।
[আরও পড়ুন: ‘আমাদের আকাঙ্ক্ষা-সীমা’, ৫০তম জন্মদিনের আগে শচীনকে শুভেচ্ছা ঊষা ঊত্থুপের]
রাহুল-ক্রুণালদের স্লো ইনিংসের দৌলতে শেষ ওভারে ১২ রান দরকার ছিল। তখনও ব্যাট করছিলেন রাহুল এবং বাদোনি। কিন্তু শেষ ওভারে পড়ল ৪টি উইকেট। যার মধ্যে দুটি রান আউট। রান হল মাত্র ৪। শেষপর্যন্ত গুজরাট ৭ রানে জিতল। কার্যত অসম্ভব হাতের মুঠো থেকে ম্যাচ হেরে গেল লখনউ।