রাজস্থান রয়্যালস: ২১২/৭ (জসওয়াল-১২৪, আরশাদ-৩৯/৩)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ২১৪/৪ (গ্রিন-৪৪, সূর্যকুমার-৫৫)
৬ উইকেটে জয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পাঁচ-পাঁচটা ট্রফি তাদের ঘরে। রবিবারসীয় সন্ধেয় সেই সফল দলের ঘরের মাঠেই বসেছিল টুর্নামেন্টের হাজারতম ম্যাচের আসর। নিজের জন্মদিনে মুম্বই অধিনায়ক হিসেবে দেড়শোতম ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু মুম্বইয়ের পক্ষে থাকা এহেন আবহেও ঝড় তুলেছিলেন যশস্বী জসওয়াল। তবে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে ওয়াংখেড়েকে জয় উপহার দিলেন মুম্বইয়ের মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। আইপিএলের সবটুকু ভাল যেন মুম্বইয়ের জন্যই সযত্নে রাখা। সূর্যকুমার, টিম ডেভিডদের অদম্য লড়াই যেন সে বার্তাই বহন করে আনল।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকে রোড শোয়ে মোদিকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল মোবাইল! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্ক]
যশস্বী ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন মুম্বইয়ের হয়ে। এই মাঠ তাঁর চেনা। আর এই মাঠেই রাজস্থানের জার্সিতে রোহিত শর্মার মুম্বইয়ের ত্রাস হয়ে ওঠেন তরুণ তুর্কি। রাজস্থান যখন একের পর এক উইকেট খুইয়ে দিশেহারা, তখন কঠিন স্তম্ভের মতো একাহাতেই দলকে রানের পাহাড়ে পৌঁছে দেন তিনি। ৬২ বলে ১২৪ রান করে চলতি আইপিএলে (IPL 2023) ৪০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যান যশস্বী। আর সেই সঙ্গে রাজস্থানের হয়ে সর্বোচ্চ রান করে স্পর্শ করলেন জশ বাটলারকে।
যশস্বীর পর দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন বাটলার। তবে সঞ্জু স্যামসনদের দু’শোর গণ্ডি টপকে যাওয়ার কৃতিত্ব প্রাপ্য মুম্বই বোলারদের। অতিরিক্ত ২৫ রান তাঁরা যোগ করেছেন রাজস্থানের স্কোরবোর্ডে। আরশাদ খান তিনটি ও পীযূষ চাওলা দুটি উইকেট পান। তবে এদিন ঐতিহাসিক ম্যাচে অর্জুন তেণ্ডুলকরকে বসতে হয় ডাগআউটেই। জন্মদিনে অবশ্য নিজে রান করতে না পারলেও মুম্বইয়ের জয়েই ঐতিহাসিক ম্যাচ তথা নিজের জন্মদিন স্মরণীয় করে রাখা হল না রোহিতেরও।
২১৩ রানের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ৩ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন হিটম্যান। ২৮ রানে ঈশান কিষান ফিরলে দলের হাল ধরেন দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার ক্যামেরন গ্রিন (৪৪) এবং সূর্যকুমার যাদব (৫৫)। গ্রিনের মূল্যবান উইকেটটি তুলে নিয়ে মুম্বইকে জোর ধাক্কা দেন আর অশ্বিন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যিনি ৩০০ উইকেটের মালিকও হয়ে গেলেন। সূর্যকুমারকে প্যাভিলিয়নে ফেরান বোল্ট। কিন্তু সেখানেও যে মুম্বইয়ের ইনিংসের সূর্যাস্ত ঘটেনি, তা বুঝিয়ে দিলেন টিম ডেভিড (৪৫*) এবং তীলব বর্মা (২৯*)। শেষ মুহূর্তে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে অনবদ্য ফিনিশারের ভূমিকা পালন করেন ডেভিড। আর তাতেই জয় নিশ্চিত হয় মুম্বইয়ের।