গুজরাট টাইটানস- ১৯৯/৪ (শুভমান গিল ৮৯, সাই সুদর্শন ৩৩, রাবাদা- ৪৪/২)
পাঞ্জাব কিংস- ২০০/৭ (শশাঙ্ক সিং- ৬১*, প্রভসিমরন সিং ৩৫, নুর আহমেদ ৩২/২)
৩ উইকেটে জয়ী পাঞ্জাব কিংস।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসময় মনে হচ্ছিল অনায়াসে জয় পেতে চলেছে গুজরাট। কিন্তু আচমকাই খেলা ঘুরে গেল। জঘন্য বোলিং করে বড় রানের 'সম্পদ' খুইয়ে ম্যাচ হারলেন শুভমান গিলরা। পাঞ্জাব তাঁদের হারিয়ে দিল ৩ উইকেটে।
এদিন টসে জিতে পাঞ্জাব প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঋদ্ধিমান সাহা (১১) দ্রুত আউট হলেও কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং উপহার দেন গুজরাট টাইটানসের অধিনায়ক শুভমান গিল (Shubman Gill)। এবারের আইপিএলে (IPL 2024) ভালো শুরু করেও বড় ইনিংস কিছুতেই খেলা হয়ে উঠছিল না ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন ব্যাটিং তারকার। কিন্তু আজ তিনি যেভাবে ইনিংস টানলেন, শতরান পাওয়াটা মনে হচ্ছিল সময়ের অপেক্ষা। শেষদিকে বড় বড় শট খেললেও ৮৯ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি। চমৎকার ব্যাট করলেন সাই সুদর্শনও। শুভমানের দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটারের ব্যাট থেকে ১৯ বলে ৩৩ রান এল এদিন। একেবারে শেষে রাহুল তেওটিয়া ৮ বলে ২৩ করে অপরাজিত থেকে গেলেন। রান পেলেন না বিজয় শংকর। চলতি আইপিএলে প্রথম বার নেমে বড় রান পাননি উইলিয়ামসনও (২৬)। কিন্তু তবুও গুজরাট অনায়াসে পৌঁছে যায় ৪ উইকেটে ১৯৯ রানে।
[আরও পড়ুন: মাটি খুঁড়তেই মুঘল আমলের রুপোর মুদ্রা! সংগ্রহ করতে হুড়োহুড়ি গ্রামবাসীদের]
শুরু থেকেই গুজরাটের আস্কিং রেট ছিল ১০। সেটা মাথায় রেখে রণং দেহি মূর্তি ধারণ করে প্রথম ওভারেই তিনটি বাউন্ডারি মারেন বেয়ারস্টো। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের শুরুতেই অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান উমেশ যাদবের বলে কাট করতে গিয়ে বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হন (১)। জনি বেয়ারস্টোও টিকতে পারলেন না। তিনি ২২ রানে ফিরলেও ভালো খেলে যান প্রভশিমরন সিং। পাঁচটি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ২৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংস। দুর্ভাগ্য, নুর আহমেদের গুগলিতে ঠকে যাওয়ায় অর্ধশতরান আর পাওয়া হয়নি তাঁর। তবে পাঞ্জাবকে প্রকৃত অর্থেই লড়াইয়ে ফেরালেন শশাঙ্ক সিং। তাঁর অর্ধশতরান দলকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দিল। দাঁড়িয়ে থেকে ম্যাচ 'ফিনিশ' করলেন তিনি। জিতেশ সিং জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে ফুলটসে বলে উইকেট ছুড়ে দিলেও দায়িত্ববানের মতো ইনিংস খেললেন আশুতোষ শর্মা।
[আরও পড়ুন: বিষ্ণুপ্রসাদ ও জন বার্লা ‘কাঁটায়’ বিদ্ধ বিজেপি! কাল মোদির সভায় যাবেন মন্ত্রী?]
শেষ ১২ বলে দরকার ছিল ২৫ রান। প্রথমে আশুতোষ, পরে শশাঙ্ক ছক্কা মেরে এগিয়ে দেন পাঞ্জাবকে। শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ৭। কিন্তু প্রথম বলেই আউট হয়ে যান আশুতোষ। ছক্কা মারতে গিয়ে অযথা ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছিলেন। ফিরে যাওয়ার সময় তাঁর শরীরী ভাষাই বলে দিচ্ছিল ম্যাচটা শেষ করেই ফিরতে চাইছিলেন আপ্রাণ। শেষ ২ বলে দরকার ছিল ১ রান। কিন্তু পঞ্চম বলেই লেগ বাইয়ে কাঙ্ক্ষিত জয়সূচক রানটি সংগ্রহ করে জয় পেল পাঞ্জাব। শশাঙ্ক করে গেলেন অনবদ্য ৬১। তাঁর ইনিসটি এককথায় উইনিং নক।