সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একপেশে ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে গুঁড়িয়ে দিয়ে আইপিএল (IPL 2024) ফাইনালে কেকেআর। ৩৮ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে কোয়ালিফায়ারে জয়, চাট্টিখানি কথা নয়। তাও টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ফর্মে থাকা সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে। এই দুঃসাধ্য কাজটি কীভাবে সম্ভব হল?
১। স্টার্কের দুর্দান্ত স্পেল: মিচেল স্টার্ক। ২৪ কোটি ৭৫ লাখে কেকেআর যখন তাঁকে দলে নিল, তখন অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছিলেন। নাইট (KKR) ম্যানেজমেন্টের বোধশক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। মরশুমের শুরুটাও খুব একটা ভালো করেননি অজি পেসার। তবে সময় যত যাচ্ছে ততই বিধ্বংসী হচ্ছেন তিনি। কোয়ালিফায়ারে নাইটদের জয়ের ভিত গড়ে দিলেন স্টার্কই। নতুন বলে তিনি ৩ ওভারে ৩টি উইকেট তুলে নিয়ে কোমর ভেঙে দিলেন হায়দরাবাদের ব্যাটিং বিভাগের।
[আরও পড়ুন: CCTV ফুটেজ বাজেয়াপ্তর পর এবার স্বাতীর পোশাক পাঠানো হল ফরেনসিক তদন্তে]
২। দায়িত্বজ্ঞানহীন হায়দরাবাদ: শুরুটা ভালো হয়নি। একের পর এক উইকেট পড়ছে। তাও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিলেন না হায়দরাবাদ ব্যাটাররা। হেনরিখ ক্লাসান থেকে সাহাল একের পর এক ব্যাটার আউট হলেন ভুল শট খেলে। বাউন্ডারি মারতে গিয়ে। আরেকটু বুদ্ধি করে খেললে হয়তো স্কোরটা সম্মানজনক হত। যেমনটা শেষদিকে খেললেন কামিন্স।
৩। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট এবং ফিন্ডিং: প্রথম ৫ ওভারে ৪ উইকেট উঠে এলেও ভালো পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করছিল হায়দরাবাদ। রাহুল ত্রিপাঠী এবং ক্লাসেন একটি জুটিও বাঁধছিলেন। কিন্তু তখনই পালটা আঘাত। ক্লাসেনকে তুলে নিলেন বরুণ। তার পর আর জুটিই হতে দেননি কেকেআর বোলাররা। সেই সঙ্গে অনবদ্য ফিল্ডিং। রাসেল যে ক্ষীপ্রতার সঙ্গে ফিল্ডিং করে ভালো ছন্দে থাকা রাহুল ত্রিপাঠীকে রান আউট করলেন, সেটা প্রশংসার দাবি রাখে।
৪। ভয়ডরহীন ক্রিকেট: এই মরশুমে নাইটদের ইউএসপিই হল ভয়ডরহীন ক্রিকেট। কেকেআর প্রতিটি ম্যাচই খেলছে মার মার-কাট কাট মনোভাব নিয়ে। অথচ সেই আগ্রাসনও পরিমিত, ঠিক যতটা দরকার। বিপক্ষকে জমি তৈরি করতেই দিচ্ছে না নাইটরা। ঠিক যেমনটা মঙ্গলবার দেওয়া হল না হায়দরাবাদকে। ১৬০ রান তাড়া করতে নেমেও সেই চেনা ছন্দেই খেললেন নাইটরা। যাতে কোনওভাবেই চাপ না আসে। হলও তাই। ওপেনার এবং টপ অর্ডারের ব্যাটে জয় এল ৩৮ বল বাকি থাকতে।
[আরও পড়ুন: রাজস্থানে কিশোরীকে গণধর্ষণের পর ইটভাটার চুল্লিতে পুড়িয়ে হত্যা! মৃত্যুদণ্ড দুই সাজাপ্রাপ্তকে]
৫। গম্ভীর, শ্রেয়সের যুগলবন্দি: গত মরশুমে দুজনেই ছিলেন না। চোটের জন্য শ্রেয়স খেলতে পারেননি। আর গম্ভীর (Gautam Gambhir) ছিলেন লখনউতে। এবার দুজনের ছোঁয়ায় যেন বদলে গিয়েছে কেকেআর। গম্ভীর এনে দিয়েছেন জয়ের মানসিকতা। আর আগের মরশুমে যে ছোট ছোট ভুলগুলো মাঠে নেমে হচ্ছিল, সেগুলো বদলে দিয়েছেন শ্রেয়স (Sreyash Iyer)। মঙ্গলবারও বোলিং পরিবর্তন থেকে ফিল্ডিং সাজানো, সব ক্ষেত্রেই পুরো নম্বর পাবেন তিনি। যেভাবে মাঝের ওভারগুলিতে দুই স্পিনার এবং রাসেলকে ব্যবহার করলেন, সেটাও প্রশংসার দাবি রাখে।