রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৮৭/৯ (জ্যাকস-৪১, পাতিদার- ৫২)
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৪০/১০ (অক্ষর-৫৭, যশ-২০/৩)
৪৭ রানে জয়ী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব উষ্ণায়নে তাপমাত্রা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায়। আজ যে রাজা, কাল সে ফকির হয়ে যায়। এমনকী ১২ বছরের খরা কাটিয়ে ওয়াংখেড়েতে কলকাতাও জিতে যায়। হাজারো বদলের দুনিয়ায় শুধু নিজেদের অপরিবর্তিত রাখতে সফল হয়েছে আরসিবি। প্রথমে লাগাতার হার, আর শেষবেলায় পর পর ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টের সমীকরণই ঘেঁটে দেওয়া। কার্যত এই হল আরসিবির দস্তুর। যার এবারও বদল হল না। হারের ডবল হ্যাটট্রিক হজমের পর এভাবেও ঘুরে দাঁড়ানো যায়। জেতা যায় পর পর পাঁচ ম্যাচ। বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ব্রিগেড না থাকলে কে বিশ্বাস করত? আর এই পাঁচের প্যাঁচেই প্লে অফে পৌঁছনোর অঙ্কে চাপে পড়ে গেল একাধিক দল।
হারের হ্যাটট্রিকের পরই 'কার্যত বিদায়' শব্দ জুড়ে গিয়েছিল বেঙ্গালুরুর নামের পাশে। ১৭ তম মরশুমেও যে ট্রফি হাতছাড়া হচ্ছে, সে বিষয়ে আরও একবার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিলেন আরসিবি ভক্তরা। কিন্তু হারের হতাশা কাটিয়ে যেভাবে মারকাটারি মেজাজে ইউ-টার্ন নিল দল, তাতে নতুন করে স্বপ্নে বুঁদ সমর্থকরা। রবিবার চিন্নাস্বামীতে পন্থহীন দিল্লিকে ৪৭ রানে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলেন ফ্যাফ ডু প্লেসিসরা।
[আরও পড়ুন: হরিচাঁদ-গুরুচাঁদকে যাঁরা ঈশ্বর বলে মানেন না, তাঁদের ভোট নয়! মতুয়াগড়ে হুঙ্কার অভিষেকের]
তিন ম্য়াচে স্লো ওভার রেটের কারণে এক ম্যাচ সাসপেন্ড করা হয়েছে পন্থ। ফলে এদিন দিল্লির দায়িত্বে ছিলেন অক্ষর। টস জিতে বিরাটদের ব্যাট করতে পাঠান তিনি। ২৭ রানে আউট হন কোহলি। ৬ রানে ফেরেন ফ্যাফ। তবে মিডল অর্ডারের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ায় দল। উইল জ্যাকস, রজত পাতিদার এবং ক্যামেরন গ্রিনরা (৩২*) দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন।
আর বল হাতে বাকি কাজটা করেন যশ দয়াল। ৩.১ ওভারে ২০ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন। জোড়া উইকেট নেন লকি ফার্গুসন। আরসিবি (RCB) বোলারদের দাপটে ১৪০ রানেই গুটিয়ে যায় দিল্লি। ফলে দিল্লির এবারের মতো সফর শেষ হলেও প্লে অফে ওঠার রাস্তা এখনও খোলা বেঙ্গালুরুর। পরের ম্যাচে চেন্নাইকে হারাতে পারলেই কার্যত নিশ্চিত হয়ে যাবে প্লে অফ। এবার দেখার কোহলিরা জয়ের ডবল হ্যাটট্রিক করতে পারেন কি না।