সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যালেস্টাইনের (Palestine) বিরুদ্ধে যুদ্ধপরাধ বন্ধ করতে হবে। ইরান (Iran) ও সৌদি আরবের (Saudi Arabia) রাষ্ট্রপ্রধানরা এই বার্তাই দিলেন। দীর্ঘ সাত বছর ধরে দ্বন্দ্ব ছিল ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে। সেই দ্বন্দ্ব মিটতেই ফোনে কথা বলেন দুই দেশের প্রধান। সেই আলোচনাতেই প্যালেস্টাইনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, মুসলিম দুনিয়ার মন জয় করতেই এই অবস্থান নিয়েছে সৌদি আরব।
চিনের মধ্যস্থতায় চলতি বছরেই সাত বছরের দ্বন্দ্ব ভুলে সহযোগিতার পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান ও সৌদি আরব। তার পরে প্রথমবার ফোনে কথা বলেন দুই দেশের প্রধান। ইরানের জাতীয় মিডিয়ার তরফে এই ফোনালাপের কথা প্রকাশ করা হয়। প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে যুদ্দাপরাধ বন্ধ করতে হবে, এই নিয়েই ফোনে আলোচনা করেন দুই দেশের প্রধান। সৌদি মিডিয়ার তরফে বলা হয়, গাজায় ভয়ংকর পরিস্থিতি থামাতে আন্তর্জাতিক মহলে লাগাতার আলোচনা চালাচ্ছেন দেশের যুবরাজ।
[আরও পড়ুন: বেল্ট অ্যান্ড রোড সম্মেলনে চিনের অতিথি পুতিন, নজর রাখছে ভারত]
তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই অবস্থান নেওয়ার মাধ্যমে ইসলামিক দুনিয়ায় নিজের জায়গা আরও শক্ত করার চেষ্টা করছে সৌদি আরব। সুন্নিপন্থী সৌদিকেই মুসলিম দুনিয়ার নেতা হিসাবে মনে করা হয়। কিন্তু ইজরায়েলের (Israel) সঙ্গেও কূটনৈতিক সুসম্পর্ক রাখার পক্ষপাতী এই দেশ। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্ন ওঠে, আমেরিকার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে গিয়ে আসলে মুসলিম দুনিয়ার স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করছে সৌদি আরব।
অন্যদিকে, শিয়াপন্থী ইরানের বিরুদ্ধেই হামাসকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। বরাবরই প্যালেস্টাইনের সমর্থনে সরব হয়েছে সেদেশের প্রশাসন। এবারে তাদের পাশে সৌদি আরবও। তবে সৌদির বিবৃতিতে কোনও দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি।