সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাহসা কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ইরানে! ‘ঠিকমতো’ হিজাব না পরায় পুলিশি মারে গুরুতর আহত এক কিশোরী। তাকে নিয়ে রীতিমতো জমে-মানুষে টানাটানি চলছে বলে খবর। এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি তেহরান।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, হিজাব না পরায় আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে আরমিতা জেরাভান্দ নামের ১৬ বছরের এক তরুণীকে। ইরানের দুই নামজাদা মানবাধিকার কর্মীর বয়ানে সংবাদ সংস্থাটির দাবি, তেহরান মেট্রোয় ওই কিশোরীকে প্রবল মারধর করে সরকারি বাহিনীর লোকজন। কোমায় থাকা আরমিতা জেরাভান্দকে নিয়ে রীতিমতো জমে-মানুষে টানাটানি চলছে বলে খবর। ঘটনাটি চেপে যাওয়ার জন্য তার পরিবারের উপর চাপ তৈরি করছে প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: ‘শান্তি ফেরাতে বৈঠক চলছে’, খলিস্তানি চাপের মুখে ভারতের সঙ্গে আলোচনা কানাডার]
উল্লেখ্য, মাহসা আমিনির মৃত্যুতে কেঁদেছে গোটা দুনিয়া। চোখের জল ফেলেছে ইরানও (Iran)। হিজাবের শিকল ভেঙে ফেলতে বেনজির গণউত্থানের সাক্ষী থেকেছে ইসলামিক দেশটি। তবে ‘মোল্লাতন্ত্রে’র নিয়ন্ত্রণে থাকা তেহরানে পরিস্থিতি বিশেষ পালটায়নি। রাষ্ট্রের মদতে নারী নির্যাতন অব্যাহত। ফের তাণ্ডব শুরু করেছে নীতি পুলিশ।
দিন দশেক আগেই শরিয়তের পোশাকবিধি বলবৎ করতে মহিলাদের জন্য বিশেষ বিল পাশ করে ইরানের পার্লামেন্ট। এর ফলে রাষ্ট্রের মদতে নারী নির্যাতন যে কতটা চরমে উঠেছে তা ফের স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘IRNA’ জানায়, ‘হিজাব ও সতীত্ব সমর্থন’ বিল পাশ করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিলে’র সবুজ সংকেত পেলেই তা আইনে পরিণত হবে। নতুন বিলটিতে বলা হয়েছে, বিদেশি সরকার, সংগঠন বা সংবাদমাধ্যমের প্ররোচনায় মহিলারা হিজাব না পরলে বা ‘অশ্লীল’ পোশাক পরলে পাঁচ থেকে দশ বছরের জেলের সাজা হতে পারে। অর্থাৎ, নীতি পুলিশিকে আইনের মোড়কে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির প্রশাসন।