সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন বিমানহানায় ইরানের শীর্ষ সেনা আধিকারিকের মৃত্যুর পর মধ্যপ্রাচ্যে ঘনিয়েছে যুদ্ধের মেঘ। পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে এবার আমেরিকা হুমকি দিয়েছেন ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই।
শুক্রবার ভোরে বাগদাদ এয়ারপোর্টে মার্কিন বিমান হামলায় মৃত্যু হয় ইরানের ‘কাডস ফোর্স’-এর কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলেমানি-সহ ৮ জনের। তারপরই আমেরিকার বিরুদ্ধে টুইটে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে খামেনেই লিখেছেন, “তাঁর অক্লান্ত চেষ্টার পুরস্কার স্বরূপ শহিদ হয়েছেন সোলেমানি। তাঁর দেখানো পথেই জেহাদ চলবে এবং এই ধর্মযুদ্ধে আমাদেরই জয় হবে। যারা সোলেমানির রক্তে হাত রাঙিয়েছে তাদের জন্য চরম প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।” ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জ়ারিফও সাফ বলেছেন, ‘এই হামলার পর পরিস্থিতির অবনতি হলে তর দায় নিতে হবে আমেরিকাকে।’ এদিকে, ইরানের দাবি উড়িয়ে আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও একটু টুইট করেন। সেখানে দেখা যায় সোলেমানির মৃত্যুতে আনন্দে মেতেছেন ইরাকিরা।
বিগত কয়েকমাস ধরেই আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে গত রবিবার বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় ইরানপন্থী মিলিশিয়া। তারপর শুক্রবার ভোরে আচমকা বাগদাদ এয়ারপোর্ট বিমান হামলা চালায় আমেরিকা। তিনটি রকেট ছোঁড়া হয়। এর ফলে ইরান এলিট গার্ড ফোর্সের প্রধান কমান্ডার কাশেম সোলেমানি, PMF-এর ডেপুটি কমান্ডার আবু মেহদি আল-মুহানদিস ও বিমানবন্দরের প্রোটোকল অফিসার মহম্মদ রেদা-সহ আটজনের মৃত্যু হয়।
ইরাকের আধাসামরিক বাহিনীর এক আধিকারিক জানান, ইরান থেকে কিছু শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকের ইরাকে আসার কথা ছিল। সেই কারণে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন শীর্ষস্থানীয় প্রোটোকল অফিসার মহম্মদ রেদা। তিনি যখন ইরান এলিট গার্ড ফোর্সের প্রধান সুলেমানি ও মুহানদিসকে নিয়ে বিমানবন্দরে থেকে বের হচ্ছিলেন তখন কার্গো হলের কাছে তিনটি রকেট এসে পড়ে। এর ফলে ঘটনাস্থলে থাকা সবার মৃত্যু হয়েছে। কয়েকটি দেহ এমনভাবে পুড়ে গিয়েছে যে শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: দাবানলে মৃত্যু বাবার, অস্ট্রেলিয়ায় পিতৃহারা শিশুকে সর্বোচ্চ সম্মান দমকলের]
The post সোলেমানির মৃত্যুতে বদলার হুমকি খামেনেইর, যুদ্ধের মেঘ মধ্যপ্রাচ্যে appeared first on Sangbad Pratidin.