সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলে মাটিতে সরাসরি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ভয়ংকর যুদ্ধের দামামা বেজে উঠল মধ্যপ্রাচ্যে। এবার ইরানকে যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে জানালেন, 'ইরানকে এই ভুলের ফল ভুগতে হবে।' এদিকে ইরান ও ইজরায়েলের 'মল্ল যুদ্ধের' মাঝে নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা।
হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার মৃত্যুর বদলা নিতে ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর দাবি, অন্তত ১৮১ মিসাইল ছোড়া হয়েছিল তবে তার বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা গিয়েছে। তেল আভিবের কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু মানুষ আহতও হয়েছেন। এই হামলার পরই ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানালেন, 'বিরাট ভুল করে ফেলেছে ইরান। যথা সময়ে এর জবাব পেয়ে যাবে ওরা। আমরা তৈরি রয়েছি।' ফলে অনুমান করা হচ্ছে, শীঘ্রই ইরানের মাটিতে সরাসরি হামলা চালাতে পারে ইজরায়েল।
এদিকে ইজরায়েলের উপর হামলার ঘটনার পর জরুরি বৈঠকে বসেন জো বাইডেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সহ সে দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আধিকারিকরা। বৈঠকের পর মার্কিন সেনাকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয় ইজরায়েলকে সহায়তার। পাশাপাশি ইরানের এই হামলার নিন্দা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে আমেরিকা যে সম্পূর্ণরূপে ইজরায়েলের পাশে রয়েছে সে কথা স্পষ্ট করে দেন তিনি। তবে বাইডেনের তরফে ইজরায়েলকে সহায়তার নির্দেশ দেওয়ার পালটা বিবৃতি দিয়েছে ইরানও। জানানো হয়েছে, এই যুদ্ধে আমেরিকা যাতে না জড়ায়। তা না হলে ইরাকে মার্কিন বেস লক্ষ্য করেও হামলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এরপরেই সমস্ত মার্কিন সেনা এবং এয়ারফোর্স ঘাটিওগুলিতে চূড়ান্ত সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। এমনকি ইজরায়েল প্রতিশোধ নিতে এলে তার ফলও ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
হেজবোল্লা প্রধানের মৃত্যুর পরেই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ‘বদলা’র ডাক দিয়েছিল ইরান। তেল আভিভের হানায় হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার মৃত্যু হয় শনিবার। নাসরাল্লার মৃত্যুর খবর পেয়ে তেহরানে পথে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন হাজার হাজার মানুষ। ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতার মৃত্যুর বদলা নিতে হবে ইজরায়েলের থেকে, এই দাবিতে সরব হন প্রতিবাদীরা। তার পরেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দেয় ইরান। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, এর ফল ভালো হবে না। এর পরই মঙ্গলবার রাতে ইজরায়েলে হামলা চালায় ইরান।