সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসিন ফাখরিজাদেহকে দু’দিন আগেই অতর্কিতে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুষ্কৃতীরা। এরপরই এই ঘটনার পিছনে ইজরায়েলের হাত আছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেছে ইরান (Iran)। এমনকী ইজরায়েলকে আমেরিকার ভাড়াটে সৈন্য বলে কটাক্ষ করে চরম প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। এবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে আন্তর্জাতিক পরিদর্শন বন্ধ করার দাবি জানাল তেহরান। রবিবার ইরানের জাতীয় সংসদে এই বিষয়ে একমত হয়ে যৌথ বিবৃতি দেন সমস্ত সাংসদরা। এর পাশাপাশি ডা. মোহসিন ফাখরিজাদেহের হত্যাকারীদের শনাক্ত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার তেহরানের কাছে মোহসিন ফাখরিজাদেহে ( Mohsen Fakhrizadeh) -এর গাড়িতে বোমা ও বন্দুক নিয়ে হামলা হওয়ার পর থেকেই ইরানের ক্ষোভ বাড়ছিল। কয়েকমাস আগে সেদেশের প্রাক্তন সেনাপ্রধান ও অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি কাশেম সোলেইমানিকে আমেরিকা হত্যা করার পর যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তারই যেন পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে রবিবার সংসদে হাজির হয়ে এই ঘটনার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার দাবি জানান বেশিরভাগ সাংসদ।
[আরও পড়ুন: ভারত–বাংলাদেশের আপত্তি সত্ত্বেও ব্রহ্মপুত্রের উপর বিশাল বাঁধ বানাতে চলেছে চিন ]
তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ উল্লেখ করেন, কিছুদিন আগে পর্যন্ত ইরানের কোনও কোনও সাংসদ মনে করতেন পশ্চিমের দেশগুলির সঙ্গে সমঝোতা ও আলোচনা করে চললে ইরান স্বাভাবিক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। কিন্তু, ক্রমশ সেই ধারণ ভুল বলে প্রমাণ হচ্ছে। এবার সরকারকে উদ্যোগ নিয়ে এই মানসিকতা দূর করতে হবে। সেই সঙ্গে ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে পরিদর্শনে আসা থেকে রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিদেরও বিরত করতে হবে।
বিস্তারিত আলোচনা পর ইরানের শাসক ও বিরোধী দলের সমস্ত সাংসদই এই সংক্রান্ত বিবৃতিতে সই করে পরমাণু কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক পরিদর্শন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি সবাই একসুরে একথাই বলেছে যে এখনও যদি ইরানের শত্রুদের এই ধরনের আচরণ যোগ্য জবাব না দেওয়া হয় তাহলে পরিস্থিতি খুব শোচনীয় হবে।